গাজায় আরও ‘নারকীয় দৃশ্য’ অবতারণা নিয়ে সতর্ক করল জাতিসংঘ

Looks like you've blocked notifications!
দক্ষিণ গাজার রাফাহতে সোমবার ইসরায়েলি বিমান হামলায় আবাসিক ভবনের ধ্বংসস্তূপ দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। ছবি : এএফপি

ইসরায়েল গত দুদিন রোববার (৩ ডিসেম্বর) ও সোমবার গাজা উপত্যকায় সবচেয়ে ভারী বিমান, স্থল ও সমুদ্র বোমা হামলা চালিয়েছে। অঞ্চলটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালযয়ের তথ্য অনুসারে, এসব হামলায় অন্তত ৩৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠেছে এসেছে। খবর আলজাজিরার।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বলেন, ইসরায়েলি স্থল অভিযানের মুখে দক্ষিণ গাজায় এখন সহায়তা প্রদানের মতো পরিস্তিতি নেই। ফিলিস্তিনের ছিটমহলটিতে ‘আরও একটি নারকীয় দৃশ্য’ উন্মোচিত হতে চলেছে। গাজার পরিস্থিতি নিয়ে এটি জাতিসংঘের সর্বশেষ মূল্যায়ন। 

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়কের অফিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার গাজায় একমাত্র রাফাহ এলাকায় সীমিত আকারে সাহায্য আটা ও পানি বিতরণ করা গেছে। যদিও খান ইউনিসের কাছাকাছি পৌঁছলে যুদ্ধের তীব্রতার কারণে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়।

ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, খান ইউনিস থেকে রাফাহ পালিয়ে আসা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের থাকার জায়গা নেই। তারা রাস্তায় এবং অন্যান্য উন্মুক্ত এলাকায় তাঁবু স্থাপন বা অস্থায়ী আশ্রয় তৈরি করছে। এ ছাড়া গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় গাজায় টেলিযোগাযোগ পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাহায্য সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, যোগাযোগের অভাবে ‘জীবন রক্ষায় সহায়তার’ ব্যবস্থা আরও ব্যাহত হবে।

এদিকে দক্ষিণ গাজার হাসপাতালের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এল্ডার।

দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে শুট করা একটি ভিডিওতে জেমস এল্ডার বলেন, ‘টানা ৩৬ ঘণ্টা তারা এখানে কাজ করছেন। এটা চলতে পারে না। তারা আর কাজ চালাতে পারছেন না।’