গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আজ
আট সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের ইতি টানার লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের প্রচণ্ড চাপের মুখে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ভোটাভুটি হবে।
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে বেসামরিক লোকের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। ইসরায়েলি বোমা হামলায় সেখানকার জীবনযাত্রাকে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকটির ফলাফল কী হয়, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।খবর এএফপির।
এদিকে, গত বুধবার জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস একটি অনন্য পদক্ষেপ হিসেবে গাজায় জাতিসংঘ সনদের ৯৯ ধারা প্রয়োগের আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে তিনি এই যুদ্ধকে নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ নজরে আনেন। এতে মনে করা হচ্ছে, গুতেরেসের মতামত অনুসারে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে গাজা পরিস্থিতি একটি হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। গত কয়েক যুগে জাতিসংঘের কোনো মহাসচিব এমন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
নিরাপত্তা পরিষদের উদ্দেশে চিঠিতে জাতিসংঘ মহাসচিব লেখেন, ‘ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অবিরাম বোমাবর্ষণের মুখে বেঁচে থাকার মতো আশ্রয় ও অবলম্বন হারানোর ফলে আমি মনে করছি, ফিলিস্তিনিদের জীবনযাত্রা পুরোপুরি ভেঙে পড়বে খুব তাড়িাতাড়ি, এমনকি খুব অল্প পরিমাণ মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও অসম্ভব হয়ে পড়বে।’
গুতেরেস ফিলিস্তিন ও পুরো মধ্যপ্রাচ্যকে এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা করার জন্য ‘মানবিক যুদ্ধবিরতি’র ডাক দেন।
এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক আশা প্রকাশ করেন, নিরাপত্তা পরিষদ গুতেরেসের জরুরি আবেদনটি আমলে নেবে।
ডুজারিক জানান, বুধবার এই আহ্বান জানানোর পর জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরুনসহ আরও বেশ কয়েকটি দেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এদিকে, ইসরায়েলের বিরতিহীন বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকা প্রায় ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে এবং ১৩৮ জনকে অপহরণ করে নিয়ে আসে।
এর জবাবে ইসরায়েল ব্যাপক বোমাবর্ষণসহ স্থল, আকাশ ও নৌপথে গাজায় হামলা চালায়। তাদের নির্বিচার হামলায় প্রায় ১৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের বেশির ভাগই শিশু ও নারী।