দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্তের পথে জাপানের কয়েক মন্ত্রী
বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করতে যাচ্ছে জাপান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এমন সিদ্ধান্তে নিচ্ছেন বলে দাবি করেছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তারা বলছে, দুর্নীতির অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তারাই থাকছেন এই তালিকায়। সেখানে বাদ যাচ্ছেন না কিশিদার ডান হাত খ্যাত ক্যাবিনেট সেক্রেটারির প্রধান হিরোকাজু মাতসুনুও।
জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোর বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে এএফপি। প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহের শুরুতেই যেসব মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হতে পারে তাদের মধ্যে রয়েছে কিশিদার ডান হাত হিসেবে খ্যাত ক্যাবিনেট সেক্রেটারির প্রধান হিরোকাজু মাতসুনু। এ ছাড়া অর্থনীতি, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতুশি নিশিমুরাকেও বরখাস্ত করা হতে পারেন।
জাপানের প্রভাবশালী দৈনিক আসাহি শিম্বুন বলছে, সর্বমোট ১৫ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হতে পারে। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন উপমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীও আছেন।
জাপানি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলের তহবিলের জন্য হাজার হাজার মার্কিন ডলার তোলা নিয়ে তদন্ত করছে আইনজীবীরা। এ ছাড়া জাপানের সাবেক অলিম্পিক মন্ত্রী সেইকো হাশিমুতুর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলমান।
এএফপি বলছে, জাপানের পার্লামেন্টের অদিবেশন চলছে, যা শেষ হবে আগামী বুধবার। পার্লামেন্টের অধিবেশন শেষে আজ এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী পদের সম্ভাব্য রদবদলের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ফুমিও কিশিদা। তবে, দুর্নীতির অভিযোগ গুরুত্বসহকারে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী।
ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা পুনরুদ্ধার ও সরকারি কার্যক্রমের বিলম্ব রোধে আমি উপযুক্ত সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’
দুই বছর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ফুমিও কিশিদা। বর্তমানে ক্ষমমতাসীন সরকারের জনপ্রিয়তা সর্বনিম্ন স্তরে রয়েছে। সাম্প্রতিক জরিপে তাই দেখা যাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে, দেশটিতে হওয়া মূল্যস্ফীতি।
জাপানের বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা নিয়ে জরিপ চালিয়েছে দেশটির সম্প্রচার মাধ্যম ফুজি টিভি ও পত্রিকা সানকেউ শিমবুন। জরিপে দেখা যায়, ভোটারাদের মাঝে বর্তমান মন্ত্রীসভার জনপ্রিয়তা রয়েছে ২২ দশমিক পাঁচ শতাংশ, যা গত মাসে ছিল ২৭ দশমিক আট শতাংশ।