ইইউয়ে যোগ দিতে সবুজ সংকেত পেল ইউক্রেন
ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতাদের বৈঠকে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। দ্রুত ইইউয়ের সদস্যপদ দেওয়া হবে ইউক্রেন এবং মলডোভাকে। রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযান শুরু করার পর থেকেই ইইউ এই সিদ্ধান্ত নিতে চাইছিল, কিন্তু বাদ সাধছিল হাঙ্গেরি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলে হাঙ্গেরি ভেটো দিতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিল। অবশেষে হাঙ্গেরিও রাজি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারের (১৪ ডিসেম্বর) সিদ্ধান্তে হাঙ্গেরি ভেটো দেয়নি।
সংবাদ প্রকাশ্যে আসার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি এক্স-এ লিখেছেন, ‘এ এক ঐতিহাসিক জয়ের মুহূর্ত। এ জয় কেবল ইউক্রেনের নয়, সামগ্রিকভাবে ইইউয়ের। এই জয় আমাদের আরো বেশি উজ্জীবিত এবং শক্তিশালী করবে।’
ব্রাসেলসের চলতি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব সহজ ছিল না। হাঙ্গেরি শেষ পর্যন্ত অভিমত পরিবর্তন করে কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট আশঙ্কা ছিল। হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান জানিয়ে দিয়েছিলেন, তার দেশে ইউক্রেনের সঙ্গে কোনোরকম সংলাপ শুরু করতে চায় না। ২৭ দেশের মধ্যে একমাত্র হাঙ্গেরি এই অভিমত জানায়। তার বক্তব্য, ২০২২ সালের জুন মাসে ইউরোপীয় কমিশন ইইউতে যোগ দেওয়ার জন্য যে শর্ত রেখেছিল, ইউক্রেন এখনো তা পূরণ করতে পারেনি। ইউক্রেনে দুর্নীতি এবং সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের উদাহরণ দেন তিনি। ইউক্রেনের জন্য যে অতিরিক্ত ৫০ বিলিয়ন ইউরোর প্যাকেজ ঘোষণা হয়েছে, তারও বিরোধিতা করেন তিনি। তিনি জানান, এই বাজেট ইইউ সাধারণ বাজেটের বাইরে গিয়ে তৈরি করছে বলেই তিনি মনে করছেন। যদিও এর প্রায় নয় ঘণ্টা পর ইইউ কর্মকর্তারা জানান, ইউক্রেনকে ইইউয়ের অংশ করতে সম্মত হয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী।
কূটনীতিকেরা জানিয়েছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ শলৎস ইউক্রেনের প্রসঙ্গ তোলার পর হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে যান। বাকি ২৬ দেশ ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দেয়। যেহেতু হাঙ্গেরি ভেটো প্রয়োগ করেনি, তাই ইউক্রেনের সংযুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকেনি।