যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির অপেক্ষায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব

Looks like you've blocked notifications!
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক। ছবি : এএফপি

গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে আবারও একটি প্রস্তাব পাসের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন না পাওয়ায় ভেস্তে যায়। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) এ বিষয়ে নতুন করে একটি প্রস্তাবে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। খবর এএফপির।

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপ থেকে আরও খারাপ হতে থাকায় এবং উদ্বেগজনকভাবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় নিউইয়র্কের ম্যানহাটেনে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে কূটনৈতিক বাকবিতণ্ডার মাঝে গতকাল বুধবারও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। 

সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগে সংঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে সমঝোতার প্রশ্নে সবাইকে নমনীয় হতে খসড়া প্রস্তাবটিতে আলোকপাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। প্রস্তাবে নিরাপদে ও বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে এবং দুপক্ষের মধ্যে শত্রুতার একটি টেকসই সমাপ্তির লক্ষ্যে উদ্যোগ নেওয়ার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘে নিযুক্ত আমিরাতের রাষ্ট্রদূত লানা জাকি নুসেইবেহ বলেন, ‘মূল বিষয়বস্তু সামনে রেখে দেশগুলো সর্বোচ্চ কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, তবে কূটনীতিতে সময় লাগে।’

নুসেইবেহ আরও বলেন, ‘যদি এই প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়, তারপরেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাব। এ বিষয়ে ব্যর্থতার জন্যও পরিষদকে অনেক কষ্ট করতে হচ্ছে।’

এই প্রস্তাবের পক্ষে সাধারণ ঐকমত্যে পৌঁছাতে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে অনেক দর কষাকষি করতে হচ্ছে। আর ভোট প্রদানের সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত সোমবার থেকে এই প্রস্তাব বেশ কয়েকবার পিছিয়েছে।

এই যুদ্ধের শুরুর পর থেকে ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ভেটো ক্ষমতাধর যুক্তরাষ্ট্র ‘যুদ্ধবিরতি’ শব্দটির বিরোধিতা করছে এবং ইসরায়েলবিরোধী প্রস্তাবগুলোতে ভেটো প্রদান করে আসছে। আর সাম্প্রতিক দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধেই, এমনটা জানিয়েছে একটি কূটনৈতিক সূত্র।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গতকাল বুধবারও বলেছেন, হামাসকে ‘নির্মূল’ না করা পর্যন্ত তার দেশ যুদ্ধবিরতিতে যাবে না।

এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তারা এই ইস্যুতে গঠনমূলক সমাধানের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের পক্ষ থেকে তার মুখপাত্র বলেছেন, মহাসচিবের অবস্থান আগের মতোই আছে, আর তা হলো তিনি মানবিক যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়ে যাচ্ছেন।