ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের হামলার প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি হুতিদের

Looks like you've blocked notifications!
মার্কিন নৌবাহিনীর টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র। এএফপির ফাইল ছবি

ইয়েমেনে ১৬টি স্থানে হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও  যুক্তরাজ্য। ওই হামলার পর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইয়েমেনে আরও সামরিক হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিতে তিনি কোনোরকম দ্বিধাবোধ করবেন না। এরপর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল হুতিরা। তারা বলছে, তারা এই হামলার জবাব দেবে। খবর বিবিসির।

আজ শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান সমর্থিত হুতিদের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, হুতিদের মানুষবিহীন আকাশযান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার এবং বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলো এই হামলার লক্ষ্যবস্তু। অস্টিন আরও বলেছেন, নৌবাহিনীকে বিপদে ফেলতে এবং নৌপথে বিশ্ববাণিজ্যকে হুমকির মুখে ফেলতে হুতিদের সক্ষমতা খর্ব করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।

পেন্টাগন বলেছে, হুতিদের সামরিক সক্ষমতা ব্যাহত এবং অবনমিত করতে ড্রোন এবং মিসাইল দিয়ে ইয়েমেনে লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক শিপিং লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবহার করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তব্যে বলেন, ‘আজ আমার নির্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থনে সফলভাবে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চালানো এই আক্রমণকে জো বাইডেন হুতিদের নজীরবিহীন হামলার বিপরীতে ‘সরাসরি জবাব’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হুতিরা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো হামলায় জাহাজ বিধ্বংসী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।’

হুতি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার জবাব দিতে এসব হামলা চালাচ্ছে। ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইয়েমেনের অধিকাংশ ভূখণ্ড এখন হুতিদের দখলে রয়েছে। তারা ইসরায়েল বিরোধী অবস্থানে থেকে ইরান সমর্থিত ‘প্রতিরোধ বলয়ের’ অংশ হিসেবে কাজ করে। হুতিরা বলে আসছে, তারা কেবল ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জাহাজে হামলা চালায়। আর এবার ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার জবাব দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিল তারা।