এগিয়ে ইমরান সমর্থিতরা, সরকার গঠনে দর কষাকষি শুরু পাকিস্তানে
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে সর্বশেষ ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে সরকার গঠনের জন্য কোনো দল বা স্বতন্ত্র সদস্যরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। তাই জোট সরকার গঠনে দলগুলোর মধ্যে শুরু হয়েছে প্রচণ্ড দর কষাকষি। তবে এবারের বিশেষ চমক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন স্বতন্ত্র সদস্যরা যাদের বেশিরভাগই কারারুদ্ধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থক। খবর এএফপির।
এবারের নির্বাচনে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দল হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। যে কারণে দলটির প্রতি অনুগত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে নির্বাচনে দাঁড়ায়।
নির্বাচনে দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন পাওয়া পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ইতোমধ্যে নিজেদের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সেনা সমর্থিত দল হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগ। তবে নির্বাচনে ভোটের ফলাফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রতার কারণে অভিযোগ উঠেছে সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা নিয়ে নির্বাচনি প্রতিষ্ঠানগুলো ভোট কারচুপিতে জড়িয়ে পড়েছে। তারপরও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে যদি সরকার গঠন করতে হয় তবে, তাকে তার প্রতিপক্ষ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে আগের চুক্তি থেকে সরে আসতে হবে। জানা গেছে, ইতোমধ্যে পিএমএল-এনের ঘাঁটি লাহোরে অন্যান্য দলের নেতারা আসতে শুরু করেছেন।
এদিকে লাহোরে দলের সদরদপ্তরে নওয়াজ শরীফ বলেন, ‘আমরা নিজেরা সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাইনি, আর এ কারণে আমরা অন্যান্য দল ও প্রার্থীদের সফলভাবে কাজ করতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।’
এদিকে আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল নাগাদ ধীরগতির ফলাফল ঘোষণায় দেখা যাচ্ছে স্বতন্ত্র সদস্যরা ৯৮টি আসন লাভ করেছেন যার মধ্যে ৮৭ জন ইমরানের (পিটিআই) সমর্থক। নওয়াজ শরীফের পিএমএল-এন পেয়েছে ৬৯টি আসন আর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন। জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হলেও এখনও ২০টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি।