সিডনিতে রাজা সুপার মার্কেটের উদ্বোধন

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : প্রতিষ্ঠানটির সৌজন্যে

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির উপশহর লাকেম্বায় রাজা সুপার মার্কেটের উদ্বোধন শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত হয়েছে। লাকেম্বা বাংলাদেশ কমিউনিটির জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। জমকালো উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেছে ওই এলাকায় বসবাসরত বাংলাদেশি এবং দক্ষিণ এশীয় সম্প্রদায়। এটি তাদের জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে ওঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

উক্ত অনুষ্ঠানে ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর রাচেল হারিকা, কাউন্সিলর ক্রিস কাহিল, আওয়ামী লীগের অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক, বিএনপির অস্ট্রেলিয়া সাবেক সভাপতি মনিরুল হক জর্জ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিবলী আবদুল্লাহসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে ডেপুটি মেয়র রাচেল হারিকা আনুষ্ঠানিক ফিতা কাটার মাধ্যমে উদযাপনের সূচনা করেন। রাজা সুপার মার্কেট এবং এর পৃষ্ঠপোষকদের সমৃদ্ধি এবং সাফল্যের ইঙ্গিত করে কেক কাটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটিকে আরও আলোকিত করা হয়। অতিথিদের তখন দোকানের আইলগুলো অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, যা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন স্বাদের জন্য উচ্চ মানের মুদি এবং প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর বিস্তৃত পরিসর নিয়ে গর্ব করে।

উদ্বোধনী সেশনের একটি বিশেষ হাইলাইট ছিল ডিসকাউন্ট মূল্যে পোলাও চালের অফার। এই প্রিয় দক্ষিণ এশিয়ার সুস্বাদু খাবারে আগ্রহী ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে। রাজা সুপার মার্কেট এই উৎসব উপলক্ষে গ্রাহকদের প্রশংসার চিহ্ন হিসেবে সমস্ত আইটেমের উপর ১০ % ছাড় বাড়িয়েছে।

রাজা সুপার মার্কেটের মালিক মোহাম্মদ রেজাউল হক তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করে জানান, রাজা সুপার মার্কেটের লক্ষ্য বাংলাদেশি এবং দক্ষিণ এশিয়া সম্প্রদায়ের বিচক্ষণ চাহিদা পূরণ করে লাকেম্বাতে একটি প্রিমিয়াম গ্রোসারি গন্তব্য হওয়া।

প্রধান অতিথি ডেপুটি মেয়র বলেন, ‘এ জমকালো উদ্বোধনের মাধ্যমে রাজা সুপারমার্কেট শুধুমাত্র একটি নতুন কেনাকাটার গন্তব্যের সূচনা করেনি; বরং লাকেম্বার বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের প্রাণবন্ত ট্যাপেস্ট্রির মধ্যে সাংস্কৃতিক সংহতি ও সংহতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। যেহেতু পৃষ্ঠপোষকগণ এর দরজায় ছুটে আসছেন, রাজা সুপার মার্কেট একটি প্রিয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে, যা বাসিন্দাদের এবং দর্শনার্থীদের জীবনকে একইভাবে সমৃদ্ধ করবে।’

ডেপুটি মেয়র হরিকাসহ অতিথিদের জন্য একটি নৈশভোজের আয়োজন করা হয়। পরে সৌহার্দ্য এবং সম্প্রদায়ের চেতনা বোধ জাগিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটে।