উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমকে গাড়ি উপহার দিলেন পুতিন

Looks like you've blocked notifications!
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন (বামে) ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এএফপির ফাইল ছবি

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্কের’ স্বীকৃতি হিসেবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।

রাশিয়ায় তৈরি করা গাড়িটির বিবরণ ও মডেল সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। উত্তর কোরিয়ার নেতার ‘ব্যক্তিগত ব্যবহারের’ জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তার বোন কিম ইয়ো জংসহ তার শীর্ষ সহযোগীদের কাছে গাড়িটি পৌঁছে দেওয়া হয়।

কেসিএনএর খবরে বলা হয়, রাশিয়ার নেতা পুতিনকে কিম জং উনের পক্ষ থেকে অত্যন্ত আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তার বোন কিম ইয়ো জং বলেন, উপহারটি উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিশেষ ব্যক্তিগত সম্পর্কের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং এটি অন্যতম।

পুতিনের এই উপহার প্রদানের মাধ্যমে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে মস্কো সমর্থিত জাতিসংঘের একটি নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘিত হয়েছে বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ, উত্তর কোরিয়ায় সব ধরনের ‘যানবাহন’ সরবরাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

কিমের উচ্চমূল্যের বিলাসবহুল গাড়ির বিশাল সংগ্রহ রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। কারণ, তাকে মার্সিডিজ-মেবাচ এস৬০০, রোলস-রয়েস ফ্যান্টম ও লেক্সাস এলএক্স ৫৭০ এবং বিলাসবহুল কিছু মডেলের গাড়িতে ভ্রমণ করতে দেখা গেছে।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাশিয়া সফরের সময় কিম পুতিনের বিলাসবহুল রাষ্ট্রীয় গাড়ি অরাস সেনেট লিমুজিনের প্রশংসা করেছিলেন এবং রাশিয়ান নেতা তাকে পেছনের আসনে বসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের রাষ্ট্রীয় গাড়ি অরাস সেনেট। ফাইল ছবি

পুতিন ও কিম দুজনেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে উভয় নেতার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।

রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, অক্টোবরে কিম উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে একটি চিঠিতে ‘সাম্রাজ্যবাদীদের রাশিয়াবিরোধী পরিকল্পনার’ বিরুদ্ধে পুতিনের বিজয় কামনা করেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা গত নভেম্বরে বলেছিল, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচর উপগ্রহের সফল উৎক্ষেপণে সহায়তা করে থাকতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি পরীক্ষার অভিযোগে এর নিন্দা করেছে সিউল, টোকিও ও ওয়াশিংটন।