পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ

Looks like you've blocked notifications!
পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। ফাইল ছবি : এএফপি

পাকিস্তানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন শেহবাজ শরীফ। দেশটির অশান্ত সময়ে আপসের মাধ্যমে একজন উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে তার নাম আগে থেকেই সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছিল। গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে পরিষ্কারভাবে কোনো দল সরকার গঠন করার মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার কারণে নড়বড়ে জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ৭২ বছর বয়সী শেহবাজ শরীফকে আজ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্যরা নির্বাচিত করেছেন। আর এক্ষেত্রে কারাগারে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুসারীদের ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্নও শেষ হয়ে গেল। খবর এএফপির।  

শেহবাজ শরীফ হচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ছোট ভাই। শেহবাজ শরীফ প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন ২০২২ সালে। সে সময় ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে বৃহত্তর জোট গঠন করেছিলেন তিনি।

প্রশাসক হিসেবে অভিজ্ঞ শেহবাজ প্রাদেশিক রাজনীতির একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হলেও কবিতার প্রতি তার রয়েছে বিশেষ অনুরাগ।

এবারের নির্বাচনে দল হিসেবে জাতীয় পরিষদের সবচেয়ে বেশি আসন পায় সামরিক সমর্থনপুষ্ট পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)। কারচুপি ও ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ ওঠা এই নির্বাচনে শেহবাজের দল পিএমএল-এন তাই জোট সরকার গঠনের পথে পা বাড়ায়।

পক্ষান্তরে ইমরান খানের প্রতি আস্থাশীল এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের নেতারা স্বতন্ত্র সদস্য হিসেবে নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পায় যদিও তা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ট ছিল না। 

তাই এবার জাতীয় পরিষদে পিটিআই সর্বাধিক আসনে জয়ী হলেও তাদের বসতে হচ্ছে বিরোধী দলের আসনে। আর এ কারণেই পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় আসলো পিএমএল-এন এবং দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হলেন শেহবাজ শরীফ। ভোটাভুটিতে শাহবাজ ২০১ ভোট পেয়েছেন। আর ওমর পান ৯২ ভোট। 

জাতীয় পরিষদে ইমরান খানের দলের সদস্যদের অদম্য বিরোধিতার পাশাপাশি নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য দেশের অর্থনৈতিক মন্দা আর অবনতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ গ্রহণই এখন প্রধান কাজ।