চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল মালদ্বীপ
ভৌগলিক দিক দিয়ে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপমালার দেশ মালদ্বীপ তাদের ভূখণ্ড থেকে ভারতীয় সেনাদের চলে যেতে বলার পর এবার চীনের সঙ্গে ‘সামরিক সহযোগিতা’র চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইতোমধ্যে দেশটিতে মোতায়েন ৮৯ জন ভারতীয় সৈন্যকে আগামী ১০ মার্চের মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে গতবছরের শেষভাগে ক্ষমতায় আসা মোহামেদ মুইজ্জুর নেতৃত্বাধীন সরকার। এই নির্বাচনে চীনপন্থি মোহামেদ মুইজ্জু ভারতবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন। খবর এএফপি।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল সোমবার (৪ মার্চ) বেইজিংয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এই চুক্তি অনুসারে মালদ্বীপ কোনো রকম চার্জ ছাড়াই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চীন থেকে সামরিক সহযোগিতা পাবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জানায়, দ্বিপাক্ষিক বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করতেই চীনের সঙ্গে চুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়েছে।
এক হাজার ১৯২টি ছোট ছোট দ্বীপ নিয়ে ৮০০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত মালদ্বীপে চীনের বাড়ন্ত উপস্থিতিকে ভারত বেশ সন্দেহের চোখেই দেখে। একই ধরনের ঘটনায় আরেক প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কার বিষয়েও দেশটি সন্দিহান। পূর্ব-পশ্চিম জুড়ে বিস্তৃত আন্তর্জাতিক নৌপথে কৌশলগতভাবে এই দুটি রাষ্ট্রের অবস্থান।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে মোহামেদ মুইজ্জু নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসার পর থেকেই মালে ও নয়াদিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।
নয়াদিল্লি ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপদেশকে নিজেদের প্রভাব বলয়ে রাখতে চাইলেও মালদ্বীপ সম্প্রতি তার সবচেয়ে বড় ঋণপ্রদানকারী দেশ চীনের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। গত জানুয়ারিতে বেইজিং সফরের সময় মোহামেদ মুইজ্জু চীনের সঙ্গে অবকাঠামো, জ্বালানি, কৃষি ও নৌচলাচল বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এ প্রসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, বেইজিং দ্বীপমালাটির সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব জোরদারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপকে মেনে নেওয়া হবে না।