নাৎসি অপবাদ দিয়ে ‘ডয়চে ভেলে’ বন্ধ করলো ভেনেজুয়েলা

Looks like you've blocked notifications!
ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। ছবি : এএফপি

ল্যাটিন আমেরিকায় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দেশ ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংগঠিত অপরাধচক্রের যোগসাজশ নিয়ে একাধিক ভাষায় একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চে ভেলে৷ সোমবার সে দেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডিডাব্লিউকে ‘নাৎসি’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিরস্কার করে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন৷ সেই তালিকায় তিনি সিএনএন এবং সেই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের শাখা স্প্যানিশ ভাষার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সংবাদ সংস্থাকেও রেখেছেন৷
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থাকে মাদুরো বলেন, অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের মতো জার্মানির ‘নাৎসি’ মিডিয়া ডয়চে ভেলেও বিশ্বের সব অপরাধের জন্য ভেনিজুয়েলার মানুষকে দায়ী করছে৷ ভেনেজুয়েলা ও ব্যক্তিগতভাবে আমার ভাবমূর্তির ক্ষতি করাই এই অভিযানের লক্ষ্য৷
উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ডিডাব্লিউর এক বার্তায় ভিডিওর কিছু অংশ শেয়ার করে মন্তব্য করা হয়েছিল যে, দুর্নীতির ক্ষেত্রে মাদুরোর নিজের ভূমিকা স্পষ্ট নয়৷
মাদুরোর অভিযোগের পরেই ভেনেজুয়েলায় ডয়চে ভেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে৷ ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক অবিলম্বে ভেনেজুয়েলার উদ্দেশ্যে ডিডাব্লিউর স্প্যানিশ ভাষার চ্যানেলের সম্প্রচার আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন৷
এক বিবৃতিতে ডয়চে ভেলের মহাপরিচালক বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার মানুষকে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ তথ্য সন্ধানের অধিকার থেকে গুরুতরভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে৷
লিমবুর্গের মতে, মাদুরোর শাসনকালে লাখ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন৷ সে দেশে সংবাদ মাধ্যমের মৌলিক স্বাধীনতা নেই৷ তাই তথ্য-নির্ভর সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাদুরোর অযৌক্তিক তুলনা অপ্রত্যাশিত নয়৷
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দারিদ্র্য ও সহিংসতার কারণে ৭০ লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা থেকে পালিয়ে গেছেন৷
ল্যাটিন আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের জন্য ইউটিউব স্টাইলের ভিডিও ফরম্যাট চালু করে ডয়চে ভেলে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে৷ ‘কোমো তে আফেক্তা’ বা ‘এটা তোমাকে কীভাবে প্রভাবিত করে’ নামের ভিডিওতে চলতি সপ্তাহে ভেনেজুয়েলায় দুর্নীতি সম্পর্কে নানা তথ্য পেশ করা হয়েছিল৷ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালকে উদ্ধৃত করে সেই রিপোর্টে সোমালিয়ার ঠিক পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে৷
রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্স সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার নিরিখে ভেনেজুয়েলার স্থান ১৫৯৷ ১৮০টি দেশের সেই তালিকার শেষের দিকে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ কিউবা, হন্ডুরাস ও নিকারাগুয়ার নামও রয়েছে৷ আগামী ২৮ জুলাই ভেনেজুয়েলায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷