ফাঁসির ৪৪ বছর পর জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের প্রস্তাব পাস হয়েছে। ফাঁসির ৪৪ বছর পর গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ)এই প্রস্তাব পাস হয়। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তানভিত্তিক গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি দেশটির সুপ্রিম কোর্টের মতামাতের ওপর ভিত্তি করে এই দাবি তোলা হয়, যেখানে বলা হয়—৪৪ বছর আগে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোর ফাঁসি ন্যায় সংগত ছিল না।
জিয়া-উল-হকের অধীনে সামরিক আইনে ১৯৭৯ সালে জুলফিকার আলী ভুট্টোর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। বর্তমান প্রধান বিচারপতি কাজী ফয়েজ ঈসা বলেছেন, যে প্রক্রিয়ায় ওই বিচার সম্পন্ন হয়েছে তাতে আমরা ন্যায় সংগত ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে মনে করি না।
বর্তমানে পাক শাসকজোটের অন্যতম নেতা হলেন ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল। জিও নিউজের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তানের পার্লামেন্টে ভুট্টোর ফাঁসি বাতিলের প্রস্তাবটি আনেন পিপিপি সদস্য শাজিয়া মারি। তিনি প্রস্তাবে ভুট্টোর বিচার ও তাঁর দোষী সাব্যস্ত হওয়ার বিষয়টিকে ‘বিচার ব্যবস্থার বড় ব্যর্থতা’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এর আগে ২০১১ সালে পাকিস্তানের তৎকালীন ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ভুট্টোর ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া এবং সুষ্ঠু বিচার মেনে চলা হয়েছিল’ কি না সে সম্পর্কে আদালতের ‘মতামত’ জানতে চেয়েছিলেন। সেই মতামতে গত ৬ মার্চ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানান, সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ন্যায়বিচার পাননি।