সমুদ্রপথে সাহায্যপণ্যের প্রথম চালান গাজায় পৌঁছেছে
সাহায্যপণ্যবাহী একটি বার্জকে টেনে নিয়ে একটি জাহাজ গাজার উপকূলে পৌঁছেছে। ইতোমধ্যে জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া গাজাবাসীর জন্য ২০০ টন খাদ্য নিয়ে স্পেনিশ এই জাহাজটি গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সাইপ্রাসের একটি বন্দর থেকে ছেড়ে আসে। খবর বিবিসির।
অনলাইনে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়, একটি ক্রেনের সাহায্যে বার্জ থেকে পণ্য অস্থায়ী একটি জেটিতে দাঁড়ানো লরিতে তোলা হচ্ছে। আকাশ ও স্থলপথে পণ্যের চালান পৌঁছাতে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহণ কার্যকর হয় কিনা তা দেখতেই এই জাহাজটি পাঠানো হয় গাজায়।
আরব আমিরাতের সহয়োগিতায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) বার্জটিতে চাল, আটা, শিম, ক্যানড শাকসবজি ও প্রেটিনের এই চালানটি পাঠিয়েছে। গাজায় যেহেতু কোনো বন্দর নেই, তাই সমুদ্র উপকূল রেখা বরাবর একটি জেটি তৈরি করে ডব্লিউসিকের একটি দল। তবে এখান থেকে কীভাবে গাজায় খাবার বিতরণ করা হবে, তা এখনও পরিষ্কার হয়ে ওঠেনি। ডব্লিউসিকের প্রতিষ্ঠাতা সেলেব্রেটি শেফ জোসে আন্দ্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানান, বার্জের সব খাদ্যপণ্য ১২টি লরিতে তোলা হবে।
আন্দ্রে তার এক্স বার্তায় লেখেন, ‘আমরা এটা করে দেখিয়েছি। এটা ছিল এক ধরনের পরীক্ষা আর সামনের চালানগুলোতে সপ্তাহে কয়েক হাজার টন পণ্য এখানে পাঠানো হবে।’
এদিকে এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, পণ্যবাহী জাহাজটি সাইপ্রাসে পরিদর্শন করা হয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগের সৈন্যরা উপকূলে অবস্থান নেয়। ওপেন আর্মস চ্যারিটি নামে একটি সংস্থা এই জাহাজটি পরিচালনা করছে।
গত মঙ্গলবার লারনাকা বন্দর থেকে জাহাজটি যাত্রা শুরু করে। যদি এই মিশনটি সফল হয়, তবে গাজায় সাহায্য পাঠাতে আরও বেশ কিছু জাহাজ এই পথ অনুসরণ করবে। সরাসরি যাতায়াতের জন্য জাহাজগুলো সম্পূর্ণ নতুন একটি নৌপথ ব্যবহার করবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সমুদ্রপথ ব্যবহার করে সাহায্যপণ্য পৌঁছাতে গাজায় একটি ভাসমান ডক তৈরির জন্য পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছে। গাজায় দিনে ২০ লাখ মানুষের খাবার সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশটি।