গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস নিরাপত্তা পরিষদে

Looks like you've blocked notifications!
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে সোমবার নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন ইস্যুসহ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক হয়। ছবি : এএফপি

রমজান মাসে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। হামাসকে জিম্মিদের মুক্তি দিতে বলা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ শুরুর প্রায় ছয় মাস পর সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রস্তাব পাস হলো। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য ভোটদানে বিরত ছিল।

এবার এই প্রস্তাবের পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে। আগের অবস্থান থেকে সরে এলেও এবারও যুক্তরাষ্ট্র ভোট দেয়নি। এর আগে এই বিষয়ে চারটি প্রস্তাব বাতিল হয়ে গিয়েছিল। তিনবার যুক্তরাষ্ট্র এবং একবার রাশিয়া ও চীন প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভেটো দিয়েছিল।

জাতিসংঘের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, অবিলম্বে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে যাওয়া দরকার। প্রস্তাবে অবশ্য গত ৭ অক্টোবর আক্রমণের পর হামাস যাদের যুদ্ধবন্দি করে রেখেছে, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আগামী ৯ এপ্রিল রমজান শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরুর কথা বলা হয়েছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, গাজায় মানবিক সাহায্য বাড়ানো অত্যন্ত জরুরি। গাজায় প্রবেশের ক্ষেত্রে যেসব বাধা তৈরি করা হয়েছে, তা-ও অবিলম্বে তুলে নেওয়ার কথা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এই প্রস্তাব জাতিসংঘে আলজেরিয়া, আরব জোটের প্রতিনিধিরা সমর্থন করেছে। এ ছাড়া স্লোভেনিয়া, সুইজারল্যান্ড, ইকুয়েডর, জাপান, গায়ানা, মাল্টা, মোজাম্বিক, দক্ষিণ কোরিয়া ও সিরিয়া লিয়োনের মতো অস্থায়ী সদস্যরাও সমর্থন করেছে।

জাতিসংঘে আলজেরিয়ার দূত বেন্ডজামা বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনের মানুষ গত পাঁচ মাস ধরে ভয়ঙ্কর কষ্ট সহ্য করেছে। দীর্ঘসময় ধরে সেখানে রক্ত ঝরছে। আমাদের দায়িত্ব হলো, অবিলম্বে এটা বন্ধ করা। শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তা পরিষদ দায়িত্ব নিয়েছে।’

ফিলিস্তিনের দূত বলেছেন, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করার ক্ষেত্রে এই প্রস্তাব একটা বড় ভূমিকা নেবে। এর ফলে যেন গাজার মানুষের ওপর আঘাত বন্ধ হয়।’

তবে ইসরায়েল ও হামাস এই প্রস্তাব মানবে কিনা এবং এই প্রস্তাব রূপায়ণ করবে কিনা, সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, যুক্তরাজ্য এবং অন্য কয়েকটি সংগঠন সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে। তারা এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, তারা দুই পক্ষের মধ্যে বন্দিবিনিময় দেখতে চায়।