সংকটের পর শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতি এখন সর্বনিম্ন

দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায় দেখা দেওয়া অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের পর চলতি মার্চে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক ৯ শতাংশে এসে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পরিসংখ্যান অফিস। বাৎসরিক হিসাবে মূল্যস্ফীতি এখন সংকটের পর সর্বনিম্ন অবস্থানে রয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে এই দ্বীপরাষ্ট্রটি ৪৬ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণখেলাপি হয়েছিল। দেশটিতে বৈদেশিক মুদ্রার এমন সংকট দেখা দিয়েছিল, নাগরিকদের জীবনযাপনে প্রয়োজনীয় খাদ্য, জ্বালানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য আমদানি করতে পারছিল না সরকার।
ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ৭০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে যদি কলম্বো কনজ্যুমার প্রাইস ইনডেক্সের বর্তমান হার বিবেচনা করা হয়, তবে তাকে অত্যন্ত নিম্নমুখী বলতে বাধ্য হবে সবাই।
দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ঋণ হার এখন ১০ শতাংশ থেকে কমে সাড়ে ৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে, যা চলমান অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষণ।

সে সময়ের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে শ্রীলঙ্কায় কয়েক মাসব্যাপী প্রতিবাদ-বিক্ষোভের কারণে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন। তার উত্তরসূরী রনিল বিক্রমাসিংহে এরপর দায়িত্ব পেয়ে কর বাড়ান, জ্বালানিতে ভর্তুকি কমিয়ে আনেন এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের ‘রেসকিউ প্যাকেজ’ গ্রহণ করেন। কৃচ্ছ্রতা সাধনের কারণে দেশটি ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠছে বলে মনে করে বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার ও আইএমএফ।