জাতিসংঘে ‘ফিলিস্তিন ভোট’ আয়োজন ঘিরে অনিশ্চয়তা

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধের দাবি জানিয়ে লন্ডনের এলিজাবেথ টাওয়ারের সামনে ফিলিস্তিনপন্থি কর্মীদের অবস্থান। ছবি : এএফপি

জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বা আগামীকাল শুক্রবার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন কূটনৈতিক সূত্র। খবর এএফপির।

এর আগে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছিল, আজ বৃহস্পতিবার এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু, কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র আগামীকাল শুক্রবার ভোট আয়োজনের আহ্বান জানানোয় পরিস্থিতি এখন পাল্টে গেছে। বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক সূত্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার দিনশেষে ‘ফিলিস্তিন ভোট’ হওয়ার বিষয়ে কোনো বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত শ্লোভেনিয়ার রাষ্ট্রদূত স্যামুয়েল জোগার সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি এখনও বাতাসে ভাসছে।’

অন্যদিকে, ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘আগামীকাল বেলা তিনটায় ভোট হবে। আমি নিশ্চিত। আমাকে বিশ্বাস না হলে আগামীকাল কী হয়, তা দেখতে পাবেন।’

ওদিকে, নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী মাল্টার কূটনৈতিক মিশন সময়সূচির বিষয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি। তবে দিনক্ষণ যাই হোক না কেন ফিলিস্তিনিদের এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে ব্যর্থ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০১২ সাল থেকে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষকের মর্যাদা পাওয়া ফিলিস্তিনিরা বছরের পর বছর ধরে পূর্ণ সদস্য হতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায় সম্ভব। রাষ্ট্রের মর্যাদা আদায়ের ক্ষেত্রে প্রক্রিয়া হিসেবে অবশ্যই সবার আগে নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন নিতে হয়। আর এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রয়েছে ভোটো প্রদানের ক্ষমতা। নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন পেলে প্রস্তাবটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত হবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরোয়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের হামলার মাধ্যমে গাজা যুদ্ধের সূচনা হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিনিরা গত সপ্তাহে ২০১১ সালে করা সদস্যপদের আবেদন নতুন করে আলোতে আনে। আর এরপরপরই নিরাপত্তা পরিষদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শুরু হয়।