ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির উদগীরণ, সুনামি সতর্কতা
ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরি থেকে অন্তত পাঁচবার জলন্ত লাভার উদগীরণ ঘটেছে। এতে উদ্ধারকর্মীরা আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে। অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি বিমানবন্দর এবং জারি করা হয়েছে সুনামি সতর্কতা। খবর এএফপির।
গতকাল বুধবার আগ্নেয়গিরিটি থেকে চারবার উদগীড়ণের ঘটনা ঘটে এবং সারা রাত ধরে মাউন্ট রুয়াং পাহাড়ের চূড়া থেকে লাভা বেরিয়ে আসতে থাকে। পাশাপাশি ছিল বজ্রপাতের শব্দ। এসব কারণে ইন্দোনেশিয়ার সরকারি সংস্থা চার মাত্রার সর্বোচ্চ সতর্কতা ঘোষণা করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার আগ্নেয়গিরি থেকে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়, যা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে। এ কারণে সুলাওসি দ্বীপের মানাদো শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, আগ্নেগিরিটির প্রভাব থেকে প্রায় ১১ হাজার লোকজনকে সরিয়ে নিতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। এ ছাড়া দুর্গম দ্বীপ তাগুলানদাং থেকেও লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হবে। এখানে প্রায় ২০ হাজার লোক বসবাস করে। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, আশপাশের বেশ কিছু লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে স্থানীয় সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির একজন কর্মকর্তা জানান, গত রাতে অনেক লোক সরে যেতে শুরু করেন, তবে কোন দিকে যাবেন সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনার অভাবে তারা বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়েন। তিনি আরও জানান, তাদের ২০ জন কর্মী উপকূলীয় এলাকা থেকে রাবার বোটে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ করছে।.
এদিকে, পর্যটক ও স্থানীয় অধিবাসীদের আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে ছয় কিলোমিটার দূরত্ব বজায় রাখতে সতর্ক করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রথমবার উদগীরণের পর ৮০০ মানুষকে রুয়াং থেকে কাছের তাগুলানদাং দ্বীপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গত মঙ্গলবার এই আগ্নেয়গিরি থেকে প্রথম উদগীরণ শুরু হয়। এরপর গতকাল বুধবার আরও চারবার উদগীরণের ঘটনা ঘটে। কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য উদগীরণের আশঙ্কায় আশপাশের এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে।