তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভারতে চলছে দ্বিতীয় দফায় ভোটগ্রহণ

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের কেরালা রাজ্যের ওয়ানাড জেলার একটি ভোটকেন্দ্র পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি : এএফপি  

ভারতজুড়ে বয়ে চলা তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ছয় সপ্তাহের নির্বাচনি যজ্ঞের দ্বিতীয় ধাপে আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) লাখ লাখ ভোটার তাদের ভোট প্রদান করছেন। আগামী জুনে শেষ হতে যাওয়া এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। খবর এএফপির।

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষে অবশ্য দেখা যায়, ভোটার উপস্থিতি ২০১৯ সালের নির্বাচনের চেয়ে চার পয়েন্ট কমে ৬৬ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশটির গণমাধ্যমগুলোর বিশ্লেষণ অনুসারে, নজিরবিহীন সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রাই ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়ার জন্য দায়ী।

নির্বাচনি উপকরণের ওপর চাপ কমাতে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হিসেবে পরিচিত ভারতে কয়েক দফায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর দ্বিতীয় দফার এই নির্বাচনের জন্য অন্তর্ভুক্ত এমন অনেক জেলা রয়েছে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছেছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ গতকাল বৃহস্পতিবার  জানিয়েছে, এ সপ্তাহজুড়ে চলবে তীব্র তাপপ্রবাহ। এরমধ্যে রয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহার, যেখানকার পাঁচটি জেলায় আজ ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই এলাকাগুলোতে মৌসুমি গড় তাপমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি তাপমাত্রা বিরাজ করছে।

দক্ষিণে কর্ণাটক রাজ্য এবং ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য, যা হিন্দুত্ববাদীদের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, সেই উত্তরপ্রদেশেও আজ তাপপ্রবাহের মধ্যেই ভোটগ্রহণ চলছে।

গত সপ্তাহের শুরুতে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, তারা প্রতি দফা ভোটাভুটির আগে তাপপ্রবাহ এবং আর্দ্রতার প্রভাব সম্পর্কে কাজ করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। সোমবার এক বিবৃতিতে কমিশন জানায়, শুক্রবারের ভোট নিয়ে কোনো বড় ধরনের শঙ্কা নেই।

দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এ কারণে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মতো দেশে হাজার হাজার স্কুলে শিক্ষার্থীদের সরাসরি  ক্লাসে উপস্থিত হওয়া বন্ধ করা হয়েছে।

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নির্বাচনি প্রচারণাতেও বিঘ্ন ঘটছে। বুধবার মহারাষ্ট্রে নরেন্দ্র মোদির জন্য আয়োজিত এক র‌্যালিতে অংশ নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন দেশটির সড়কমন্ত্রী নিতিন গাডকারি।