জম্মু ও কাশ্মীরে ৭২ ঘণ্টায় তিন হামলা, নিহত ১২
শুরুটা হয়েছিল রিয়াসিতে তীর্থযাত্রী বোঝাই বাসে সন্ত্রাসী হামলার মধ্য দিয়ে। তারপর কাথুয়া ও ডোডায় সন্ত্রাসী হামলা হয়। রিয়াসির ঘটনায় সন্ত্রাসবাদীরা বাসে গুলি চালায়। বাস খাদে পড়ে যায়। ৯ জন তীর্থযাত্রী মারা যান কাথুয়ায়। এ ছাড়া একজন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ও দুজন সন্ত্রাসবাদীও মারা গেছে। ডোডায় পাঁচজন সেনা ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
কাথুয়ায় গতকাল মঙ্গলবার (১১ জুন) রাতে সন্ত্রাসবাদীরা একটি গ্রামে গুলি চালায়। তারপর শুরু হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের গুলির লড়াই।
পুলিশ জানায়, একজন সন্ত্রাসবাদী রাতেই মারা যায়। দ্বিতীয় জঙ্গির সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াই চলতে থাকে। সেই জঙ্গি আজ বুধবার (১২ জুন) সকালে মারা যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ বলেছে, সন্ত্রাসবাদীরা ওই গ্রামে কয়েকটি বাড়িতে গিয়ে জল চায়। সেটা দেখে কিছু গ্রামবাসীর সন্দেহ হয়। তারা পুলিশকে খবর দেয়। তখনই সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি আনন্দ জৈন বলেন, তিনজন গ্রামবাসী মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছিল। তবে সেটা নিছকই রটনা। একজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন।
ডোডায় ছাতারগালা এলাকায় সেনা ছাউনিতে পুলিশ ও রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের একটি দলের ওপর সন্ত্রাসবাদীরা গুলি চালায়। তারপরই সন্ত্রাসবাদী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে গুলিবিনিময় চলতে থাকে। সন্ত্রাসবাদীরা পাহাড়ের ওপরের দিকে থাকায় বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। গুলিবিনিময় এখনও চলছে।
জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন মোটামুটি নির্বিঘ্নে হয়েছে। ফলাফল বেরনোর পর থেকে জঙ্গিদের পরপর তিনটি জায়গায় হামলার ঘটনা প্রশাসনকে উদ্বেগে রেখেছে।
পাকিস্তানভিত্তিক জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় জঙ্গি সংগঠন কাশ্মীর টাইগার্স ডোডার আক্রমণের দায় স্বীকার করেছে।