পিয়ংইয়ং পৌঁছেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/19/putin-thaamb.jpg)
চলতে থাকা ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াতে উত্তর কোরিয়া সফর শুরু করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রেসিডেন্ট পুতিন দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছেছেন। ক্রেমলিন এই তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
আজ খুব ভোরে পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর পুতিনকে লাল গালিচা অভ্যর্থনা জানানো হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিমানবন্দরে শুভেচ্ছা জানান। দুই নেতা হাত মেলানোর পর একেঅন্যকে আলিঙ্গন করেন। এরপর দুপাশে রাশিয়ার পতাকা দিয়ে সাজানো রাস্তা ধরে পুতিনের মোটর শোভাযাত্রা এগিয়ে চলে।
গত ২৪ বছরের মধ্যে বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন দেশটিতে এটাই পুতিনের প্রথম সফর। উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সফর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই পিয়ংইয়ং ও মস্কো ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং এই মিত্রতা আরও বেড়ে গেছে ২০২২ সালে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের সময় থেকে। এ সময়টাতে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে পুতিন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর কোরিয়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য রাশিয়ায় প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করছে।
তবে উত্তর কোরিয়া সামরিক হার্ডওয়্যার সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে আসলেও সম্প্রতি পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তার জন্য কিম সরকারকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক নিবন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান পরিচালনার ক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়া যে দৃঢ় সমর্থন দিয়ে আসছে তার জন্য রাশিয়া দেশটির প্রশংসা করছে।’
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/06/19/putin-inaar.jpg)
ভ্লাদিমির পুতিন আরও লেখেন, ‘রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া কার্যকরভাবে বিভিন্ন দিকে অংশীদারত্ব প্রতিষ্ঠা করছে।’
দুটি দেশের বিরুদ্ধেই চলছে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা চলছে ২০০৬ সাল থেকে দেশটির পারমাণবিক এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে। আর মস্কোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চলছে ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে।
পুতিন পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছানোর পর উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যমে বলা হয় এই সফরের মাধ্যমে মস্কো-পিয়ংইয়ং সম্পর্ক ‘ব্যাপক উন্নতির এক নতুন ধারায় প্রবেশ করেছে।’ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সফরে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে রয়েছেন।