ফ্রান্সে পার্লামেন্ট মেম্বার নির্বাচিত হন যেভাবে
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/06/30/france_thum.jpg)
ইউরোপের দেশ ফ্রান্স। দেশটিতে পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে আজ রোববার (৩০ জুন)। এদিন স্থানীয় সময় সকাল ৬টা (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা) থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা অর্থাৎ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা পর্যন্ত। প্যারিসসহ অন্যান্য বড় শহরে ভোটগ্রহণ করা হবে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। খবর এএফপির।
যদিও ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদন বলছে, উত্তর আটলান্টিক দ্বীপপুঞ্জের সেন্ট পিয়েরে এবং মিকেলনের ভোটাররা একদিন আগেই গতকাল শনিবার ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেওয়া শুরু করেন।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রান্সে ৫৭৭টি পার্লামেন্টারি আসন আছে। প্রতিটি নির্বাচনি জেলার জন্য একটি করে আসন বরাদ্দ। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য একটি দলের প্রয়োজন হয় ২৮৯টি আসন। ম্যাক্রোঁর জোট সরকারে আসন ছিল মাত্র আড়ইশটি।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/06/30/france_in1.jpg)
বহুদলীয় শাসনব্যবস্থার দেশ ফ্রান্সে যদি কোনো প্রার্থী পার্লামেন্ট নির্বাচনে ২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন, তাহলে তিনি ওই আসনের মেম্বার হিসেবে বিজয়ী বলে গণ্য হবেন। যদি ওই প্রার্থী ২৫ শতাংশের কম ভোটে জয়লাভ করেন, তাহলে দ্বিতীয় ধাপে গড়াবে ভোট। সেক্ষেত্রেও আছে নিয়ম। নিবন্ধিত ভোটারদের ১২ দশমিক পাঁচ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে লড়তে পারবেন প্রার্থীরা। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুই প্রার্থীর মধ্যে লড়াই হয়, তবে কখনও কখনও তিন বা চার প্রার্থীর মধ্যেও হতে পারে। যদিও অনেক সময় মিত্রদের জয়ের সুযোগ করে দিতে অনেক প্রার্থী নিজেই সরে দাঁড়ান।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/06/30/france_in2_.jpg)
নিজ দেশে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে ডানপন্থীদের কাছে ধরাশায়ী হয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগাম জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেয়। কারণ, আগামী ২০২৭ সালের আগে ফ্রান্সে কোনো নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল না। অথচ, ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী আজ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ভোটগ্রহণ চলছে। দ্বিতীয় ধাপে গড়ালে ফের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জুলাই।