গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় অচলাবস্থা
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গতকাল বুধবার (২১ আগস্ট) লেবাননে ফাতাহ আন্দোলনের সামরিক শাখার একজন শীর্ষ নেতা নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনটি অভিযোগ করে বলেছে, ইসরায়েল আঞ্চলিক যুদ্ধকে আরও উসকে দিচ্ছে। খবর এএফপির।
খলিল মাকদাহ নামের লেবানন ভিত্তিক ফাতাহ আন্দোলনের সামরিক শাখার শীর্ষস্থানীয় ওই নেতাকে এমন সময় ইসরায়েল হত্যা করল, যখন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের ইতি টানতে দুপক্ষকে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে কোনো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ছাড়াই তিনি মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করে যুক্তরাষ্টের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন।
গতকাল বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে যুদ্ধবিরতি ও পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করতে বলেন।
ফাতাহ হলো ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরের একটি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। তবে গাজা ভিত্তিক অন্য ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে।
ইসরায়েলি হামলায় লেবাননের সিডন শহরের কাছে খলিল মাকদাহকে হত্যা করা হয়। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে, মাকদাহ ইসরায়েলে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে কাজ করতেন এবং পশ্চিম তীরে অস্ত্রশস্ত্র পাচারে জড়িত ছিলেন।
ইসরায়েল গত ১০ মাসজুড়ে লেবানন সীমান্তে, বিশেষ করে হিজবুল্লাহ বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে জড়িত থাকলেও এই প্রথম ফাতাহ আন্দোলনের কোনো শীর্ষ নেতাকে হত্যা করল।
ফাতাহ কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সদস্য তৌফিক তিরাওয়াই বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো ইসরায়েল চাইছে, পুরো মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক।’
এদিকে খালি হাতে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন হামাসকে অতিদ্রুত যুদ্ধবিরতির প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আলোচনা শেষে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে মিসর ও ইসরায়েল হয়ে দেশে ফেরার পথে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি অবশ্যই হওয়া উচিত, সামনের দিনগুলোতে এই যুদ্ধবিরতি অবশ্যই কার্যকর করতে হবে।’