গাজা যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ছেই, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বড় অভিযান
গাজা উপত্যকায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েই চলেছে, প্রায় ১১ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। গাজা ছাড়াও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ব্যাপক মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করছে ইসরায়েল। গতকাল বুধবার (২৮ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। খবর এএফপির।
পশ্চিম তীরে ৯ জন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যার কথা জানিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, তবে হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ১১। গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধের সূচনা হয়েছে, তার তীব্রতা এখন বিরাজ করছে পশ্চিম তীরেও।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি আগ্রাসনে তিনজন শিশু নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাস জানিয়েছে, এই অভিযানে তাদের তিনজন সশস্ত্র যোদ্ধা মারা গেছেন।
হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, গাজা যুদ্ধে ৪০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। পাশাপাশি ইসরায়েলের আক্রমণে লাখ লাখ লোক হয়েছে বাস্তুচ্যুত, ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে অবকাঠামো খাতে।
গতকাল বুধবার ইসরায়েল পশ্চিম তীরের চারটি শহর–জেনিন, নাবলুস, তুবাস ও তুলকারেমে বড় ধরনের সমন্বিত অভিযান চালায়। সশস্ত্র সেনাসদস্যরা সেখানকার শরণার্থী শিবিরগুলোতে ঢুকে পড়ে। এ সময় গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রেড ক্রিসেন্টের তথ্য অনুযায়ী, এই অভিযানে ১১ জন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এ সময় উদ্ধারকাজে আসা অ্যাম্বুলেন্সেও গুলিবর্ষণ করে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানিয়েছেন, চারটি হাসপাতালের খুব কাছে অভিযান চালায় ইসরায়েল। এ সময় মেডিকেল টিমের চলাচলও বাধাগ্রস্ত হয়। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস অতিসত্ত্বর ইসরায়েলের এই অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে, অবনতিশীল এই পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস তার সৌদি আরব সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে এসেছেন। অন্যদিকে, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ তাঁর দেশ সফররত মার্কিন আইনপ্রণেতাদের বলেছেন, এই অঞ্চলে এই মুহূর্তে সংঘাত থামানো অপরিহার্য হয়ে দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া গাজা উপত্যকায় সহিংসতা থেমে নেই। ইসরায়েলি হামলায় সেখানে গতকাল বুধবার ১২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে, পাশাপাশি লেবাননেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।