ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান
ইসরায়েলে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। লেবাননে ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে ইসরায়েলি অভিযানের পর এ ঘটনা ঘটল।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, কিছুক্ষণ আগে ইরান থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
এএফপির সাংবাদিকরা জানান, জেরুজালেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েলজুড়ে সাইরেন বেজে ওঠে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা বলেছে, ইরান ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিবের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডস কোর বলেছে, গত সপ্তাহে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নসরুল্লাহকে হত্যা এবং তেহরানে বোমা হামলায় হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছে।
সমস্ত ফ্লাইট ডাইভার্ট করে ইসরায়েলি আকাশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একজন মুখপাত্র। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যবর্তী হওয়ায় ইরাক ও জর্ডানের আকাশসীমাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এএফপির সংবাদদাতা জানান, ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পূর্ব দিক থেকে ইসরায়েলের দিকে যাওয়ার সময় জর্ডানের রাজধানী আম্মানে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইসরায়েলের মিত্ররা তাদের বাধা দিতে চেয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এর আগে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও পেন্টাগন প্রধান লয়েড অস্টিনের সঙ্গে ইরানের হুমকি নিয়ে আলোচনা করেন। তার কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
গত বছর ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের ইসরায়েলের ওপর হামলার জেরে এ অঞ্চলজুড়ে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো ইতোমধ্যে গাজা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। তবে তেহরান মূলত তার আঞ্চলিক শত্রু ইসরায়েলের ওপর সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত ছিল।
গরকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, সৈন্যরা ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তজুড়ে দক্ষিণ লেবাননে ‘স্থল অভিযান’ শুরু করেছে। তবে কর্মকর্তারা অভিযানের মাত্রা বা এর সময়সীমার বিশদ বিবরণ দেননি।
এক সপ্তাহ ধরে লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরান-সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্তিশালী নেতা হাসান নসরুল্লাহসহ কয়েক শতাধিক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান সত্ত্বেও ইসরায়েল লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করে।
ইরান বলেছে, নসরুল্লাহর হত্যাকাণ্ড ইসরায়েলের ‘ধ্বংস’ ডেকে আনবে। তবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার বলেছে, তেহরান ইসরায়েলকে মোকাবিলায় কোনো সেনা মোতায়েন করবে না।
পেন্টাগন বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র তার বাহিনী সম্প্রসারণ করছে।