লেবাননের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ২১
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/10/15/lebaann_haamlaa_thaamb.jpg)
লেবাননের উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য দিয়েছে। খবর বিবিসির।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শিয়া ইসলামি মিলিশিয়া সংগঠন হিবুল্লাহর যেসব অবস্থান লক্ষ্য করে হাজারেরও বেশি হামলা চালিয়েছে, তার বাইরে খ্রিস্টান অধ্যুষিত আইতোউ গ্রামে একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, এখানে যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়া একটি পরিবার বসবাস করে আসছিল।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হিজবুল্লাহর অবস্থানে পুরো লেবাননজুড়ে, এমনকি রাজধানী বৈরুতেও কোনো ধরনের দয়ামায়া না দেখিয়ে হামলা চালানো হবে, এমন ঘোষণা দেওয়ার পরপরই এই হামলা চালানো হলো।
নেতানিয়াহু বলেন, ‘অভিযানের প্রয়োজনে সবকিছু করা হবে। আমরা সম্প্রতি এ বিষয়টি প্রমাণ করেছি এবং সামনের দিনগুলোতেও প্রমাণের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ রোববার রাতে হিজবুল্লাহর হামলায় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে একটি সামরিক ঘাঁটিতে চার সৈন্য নিহত হওয়ার পর সেটি পরিদর্শনের সময় নেতানিয়াহু এ কথা বলেন।
বিনইয়ামিনা নামের ছোট একটি শহরের পাশে ওই সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে হামলা চালানোর সময় সেখানকার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন কাজ করেনি, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে সামরিক বাহিনী।
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2024/10/15/lebaann_haamlaa_inaar.jpg)
গাজা যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ আন্তসীমান্ত পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনার মধ্যে এটা সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর একটি ছিল বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, লেবাননে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলায় গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে এক হাজার ৭০০ জনের বেশি নিহত হওয়ার যে ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিশোধ নিতেই রোববারের হামলাটি চালানো হয়।
গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে হিজবুল্লাহর শক্ত অবস্থানগুলোতে, অর্থাৎ লেবাননের শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত দক্ষিণ অংশ ও পূর্বে বেকা উপত্যকায় একের পর এক হামলা চালায় ইসরায়েলি বিমান বাহিনী।