মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের দীর্ঘ সারি
গত কয়েক মাসের জমজমাট প্রচারণার পর কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাস দিয়ে নানা নাটকীয়তা আর অনিশ্চয়তার ঠাসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে লাখ লাখ নাগরিক ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন। এই নির্বাচনের ফলাফল আসতে পারে দেশটির স্থানীয় সময় বুধবার সকালে অথবা কয়েক দিনের মধ্যে। তবে, যাই হোক না কেন, ফলাফলে নির্ধারিত হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিসের অভিষেক অথবা সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে আবারও ক্ষমতায় ফিরতে পারেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি তাদের প্রতিবেদনে এসব তথ্যের পাশাপাশি আরও বলেছে, আধুনিক যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ৬০ বছর বয়সী কমলা হ্যারিস এবং ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এবারই সম্ভবত সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে, নির্বাচনে ভোটারদের পাশে টানতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কমলা হ্যারিস লিখেছেন, ‘আজ আমরা ভোট দিচ্ছি কারণ আমরা আমাদের দেশকে ভালোবাসি, আমরা আমেরিকার জন্য প্রতিশ্রুতির বিষয়টিতে বিশ্বাস করি।’
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এক মিনিটের একটি ভাবগম্ভীর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে এক পোস্টে বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকবে।’
আশা করা হচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তার ভোট প্রদান করবেন। অন্যদিকে কমলা হ্যারিস ইতোমধ্যে ডাকযোগে তার ভোট দিয়ে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্ল্যাক মাউন্টেন, নর্থ ক্যারোলাইনাতে মারাত্মক বন্যার পর অস্থায়ী ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। সুইং স্টেট পেনসিলভানিয়ার ইরি শহরের ভোটকেন্দ্রগুলোতেও দেখা গেছে মানুষের লম্বা সারি।
একটি এলিমেন্টারি স্কুলে কমলা হ্যারিসকে ভোট দেওয়ার পর ৪৬ বছর বয়সী মার্শেল বেসন বলেন, অনেক দূর ভোটারদের লাইন চেলে গেছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন অনেকটাই বিভক্ত, কমলা শান্তির পক্ষে রয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ সবকিছু নেতিবাচকভাবে তুলে ধরছে।’
বাড়িতে তৈরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শার্ট গায়ে একই স্কুলে ভোট দেওয়া ৫৬ বছরের ডারলেন টেইলর বললেন তার প্রধান লক্ষ্য ‘সীমান্ত বন্ধ করা’ আর এর পাশাপাশি তিনি আগামী চার বছর মুল্যস্ফীতি দেখতে চান না।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল পেতে এবার কয়েকদিন সময় লাগতে পারে যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা তীব্র হয়। তবে, যাই হোক না কেন ফলাফল নিয়ে দুভাগে ভাগ হয়ে পড়া জাতি বেশ উত্তেজনা নিয়েই অপেক্ষা করছে।