বিদ্রোহীদের দখলে আলেপ্পোর অধিকাংশ অঞ্চল, রুশ ও সিরিয়ার বিমান হামলা
বিদ্রোহীদের দখলে আলেপ্পোর বেশিরভাগ অঞ্চল। এমন যখন অবস্থা, তখন উত্তর সিরিয়ায় বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়িয়েছে সিরিয়া ও তাদের মিত্র রুশ বিমান বাহিনী। সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটির অধিকাংশ অংশ বিদ্রোহীদের দখলে গেলে নড়েচড়ে বসে সিরিয়ার সরকার। তাদের হাত থেকে বেদখন অঞ্চলগুলো পুননিয়ন্ত্রণে আনতে তাই চলছে বিমান হামলা।
সিরিয়ার সরকার এবং তাদের মিত্র রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় বিদ্রোহী বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে, কিন্তু এই নতুন আক্রমণ বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিদ্রোহী জোট মিলিটারি অপারেশনস কমান্ড আলেপ্পোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো দখল করেছে, যার মধ্যে অন্যতম আলেপ্পো বিমানবন্দর, যেখানে সিএনএন দ্বারা যাচাই করা ভিডিওতে কম্ব্যাট ইউনিফর্ম পরা যোদ্ধাদের মূল টার্মিনালের ভেতরে দেখা গেছে।
মার্কিন গণমাধ্রম সিএনএন তাদের প্রতিবেদনে এমন সব তথ্য জানিয়েছে। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই আক্রমণটি পূর্ব আলেপ্পোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনা দখল করেও সফল হয়েছে। তবে, কিছু এলাকা কুর্দি বাহিনীর হাতে থেকে গেছে। আলেপ্পোর দখল বিদ্রোহী বাহিনীর জন্য একটি বড় বিজয় হলেও সিরিয়ার সরকারের পক্ষে এই অঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ে তোলা কঠিন হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরকারি বিমান এবং রাশিয়ান বিমানগুলো গত কয়েক দিনে আলেপ্পো ও ইদলিব প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে। সিরিয়ান সেনাবাহিনীর কমান্ডের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থা টিএএসএস জানিয়েছে যে, বিমান বাহিনী সন্ত্রাসী অবস্থান ও তাদের সরবরাহ লাইনগুলোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। এতে বহু সন্ত্রাসী নিহত ও আহত হয়েছে।
আলেপ্পো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি একটি করা হয়েছিল, সেখানে অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। হামলার পর সিএনএন-এ প্রকাশিত ভিডিওতে এমন চিত্র দেখা গেছে। যদিও তাতে পরিষ্কার নয় যে হামলাটি রুশ নাকি সিরিয়ার বিমান হামলা? এর আগে শনিবার আরেকটি হামলায় পশ্চিম আলেপ্পোর একটি চত্বরে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছিলেন।
সিরিয়ায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী একটি সংগঠন জানিয়েছে, ইদলিব শহরে রোববার আরেকটি বিমান হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছে। বর্তমানে ইদলিব প্রদেশের অধিকাংশ অংশ বিদ্রোহীদের হাতে রয়েছে।
বিদ্রোহী বাহিনীর এই দ্রুত বিজয়ে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রথমবারের মতো মন্তব্য করেছেন। তিনি শনিবার আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপে বলেছেন, সিরিয়া তার স্থিতিশীলতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় প্রতিটি সন্ত্রাসী এবং তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছেন, আমরা আমাদের মিত্রদের সহায়তায় এদের পরাজিত ও নির্মূল করতে সক্ষম।