অভিশংসন থেকে বেঁচে গেলেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
পার্লামেন্টের বাইরে ব্যাপক বিক্ষোভ সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন দলের আইনপ্রণেতাদের বয়কটের কারণে দেশে সামরিক শাসনের ঘোষণা দিয়ে আলোচিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল শনিবার (৭ ডিসেম্বর) অভিশংসনের হাত থেকে বেঁচে গেছেন। খবর এএফপির।
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণকে স্তুম্ভিত করে দিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের মধ্যে দেশে বেসামরিক শাসন ব্যবস্থাকে স্থগিত করে সামরিক শাসন জারি করেন প্রেসিডেন্ট ইওল। তবে তার এই ডিক্রি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে তার এই উদ্যোগকে অবৈধ ঘোষণা করে তা বাতিল করে দেয়। আর এরপরই ইওল সামরিক আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এসব ঘটনাকে সামনে রেখে শনিবার কোরিয়ার পার্লামেন্টে বিরোধী দল প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসনের প্রস্তাব তোলে। দেশটির ৩০০ আসনের পার্লামেন্টে এজন্য প্রয়োজন ছিল কমপক্ষে ২০০ আইনপ্রণেতার সমর্থন। তবে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইওলের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কট করলে তা ব্যর্থ হয়ে যায়।
ভোটাভুটির পর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় পরিষদ বা পার্লামেন্টের স্পিকার উ উন-শিক বলেন, ‘যেসব সদস্য আজ ভোট দিয়েছেন অভিশংসনের পক্ষে তা সংখ্যার হিসাবে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। আর এ কারণে অভিশংসনের প্রস্তাবটি কার্যকর হলো না।’
পার্লামেন্ট স্পিকার আরও বলেন, ‘দেশ ও বিশ্ববাসী দেখেছে... এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ইস্যুতে ভোটগ্রহণ না হওয়াটা দুঃখজনক।’
তবে পিপিপি দাবি করেছে দেশকে গুরুতর বিভেদ ও বিশৃঙ্খলা থেকে রক্ষা করতে তারা অভিশংসনের উদ্যোগকে ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাদের কথা অনুযায়ী এই সমস্যার নিয়মতান্ত্রিক ও দায়িত্বপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এদিকে, পার্লামেন্টর বাইরে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইয়লের পদত্যাগের দাবিতে জমায়েত প্রায় দেড় লাখ জনতা এই তৎপরতার পর বেশ হতাশ হয়ে পড়ে। তবে আয়োজকরা জানিয়েছেন জমায়েত লোকের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি যা পুলিশ কমিয়ে বলছে।