দুজন ছাড়া ১৮১ আরোহীর সবার প্রাণহানির শঙ্কা
দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরার পথে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। রানওয়েতে উড়োজাহাজটি সীমানা প্রাচীরের সঙ্গে ধাক্কা লেগে আগুনের গোলায় পরিণত হয়। ১৮১ জন আরোহী নিয়ে আসা উড়োজাহাজটি ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়ার আগে মাত্র দুজন প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে বাকী সব আরোহী মারা গেছেন। খবর এএফপির।
অগ্নি-নির্বাপন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং পাখির আঘাতের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ব্যাংকক থেকে আসা জেজু এয়ারের ফ্লাইটটি মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে এর ইঞ্জিনে ধোঁয়া দেখা যায়। এরপর উড়োজাহাজটি সীমানা প্রাচীরে আঘাত করে এবং বিস্ফোরিত হয়ে এতে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় একজন অগ্নিনির্বাপন কর্মী বলেন, ‘উড়োজাহাজটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। দেহাবশেষ উদ্ধার করে শনাক্ত করার জন্য বেশ সময় লাগছে।’
আজ রোববার স্থানীয় সময় দুপুরে অগ্নিনির্বাপন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মাত্র দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে এবং এদের দুজনই বিমানকর্মী। এ পর্যন্ত ১২০ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জেজু এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭-৮-এএস মডেলের উড়োজাহাজটি (ফ্লাইট নম্বর : জেজু এয়ার ৭সি২২৭৬) দক্ষিণ কোরিয়ার দক্ষিণ জেওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এলাকাটি রাজধানী সিউল থেকে ২৮৮ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।