থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ঘড়ি-হ্যান্ডব্যাগের দাম ৭ মিলিয়ন ডলার!
৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ আছে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতোংটার্ন শিনাওয়াত্রার। দামি ঘড়ি, দামি হ্যান্ডব্যাগ ব্যবহার তার সখের অন্যতম। সংখ্যায়ও অনেক। টেবিলঘড়িই আছে ৩৯টি। আর হ্যান্ডব্যাগ আছে ২০০টির বেশি। সব কয়টি ঘড়ি ও হ্যান্ডব্যাগের দাম সাত মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) পেতোংটার্ন শিনাওয়াত্রার দল ফেউ থাই পার্টি ঘোষিত সম্পদের হিসেবে এ তথ্য ওঠে আসে। খবর এএফপির।
পেতোংটার্নের দলের ঘোষিত পরিসংখ্যান বলছে, পেতোংটার্ন শিনাওয়াত্রার হ্যান্ডব্যাগগুলোর দাম প্রায় দুই মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া এ তরুণী প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রহে রয়েছে ৭৫টি বিলাসবহুল ঘড়ি, যার দাম পাঁচ মিলিয়ন ডলার।
টেলিকম বিলিয়নেয়ার ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ছোট মেয়ে পেতোংটার্ন সিনাওয়াত্রা। পরিবারের চতুর্থ সদস্য হিসেবে ২০ বছর বয়সেই থাই সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। গেল বছরের সেপ্টেম্বরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এর আগে দেশটির জাতীয় দুর্নীতি দমন কমিশন (এনএসিসি) পেতোংটার্নের ৪০০ মিলিয়ন সম্পদ রয়েছে বলে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে। ফলে বাধ্য হয়েই নিজের সম্পদের বিবরণ তুলে ধরেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে দেখানো এনএসিসির এক নথিতে বলা হয়, পেতোংটার্নের মালিকানায় থাকা সম্পদের পরিমাণ ১৩ দশমিক আট বিলিয়ন বাত (থাই মুদ্রা)। এরমধ্যে বিনিয়োগ আছে ১১ বিলিয়ন বাথ। এ ছাড়া তার কাছে নগদ ও ব্যাংকে মিলিয়ে কয়েক বিলিয়ন বাথ অর্থ গচ্ছিত রয়েছে।
পেতোংটার্নের অন্যান্য সম্পদের মধ্যে ১৬২ মিলিয়ন বাত টাকার ৭৫টি ঘড়ি, ৩৯টি টেবিল ঘড়ি, এ ছাড়া ৭৬ মিলিয়ন বাতের ২১৭টি হ্যান্ডব্যাগ রয়েছে। লন্ডন ও জাপানে অবস্থিত অন্যান্য সম্পদের হিসাবও তুলে ধরা হয়েছে পরিসংখ্যানে।
তবে, প্রায় পাঁচ বিলিয়ন বাতের দায় ঘোষণা করেছে পেতোংটার্নের দল। স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত এনএসিসি নথি অনুসারে এখনও ২৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের সম্পত্তির হিসাব বাকি রয়েছে।
এদিকে ফেউ থাই পার্টির একজন প্রতিনিধি নিশ্চিত করেছেন, থাই মিডিয়ার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তুলে ধরা ১৩ দশমিক আট বিলিয়ন বাথ মূল্যের সম্পদের পরিসংখ্যান সঠিক।
পেতোংটার্নের বাবা থাকসিন একসময় ম্যানচেস্টার সিটি ফুটবল ক্লাবের মালিক ছিলেন। ফোর্বসের মতে, দুই দশমিক এক বিলিয়ন ডলারের সম্পদ ছিল তার, যা তাকে থাইল্যান্ডের দশম ধনী ব্যক্তি করে তুলেছেন। থাকসিন তার শিন করপোরেশন টেলিকমিউনিকেশন সাম্রাজ্য থেকে অর্জিত অর্থ রাজনীতির কাজে ব্যবহার করেছিলেন, যা তাকে আরও প্রভাবশালী করে তোলে।