ছড়িয়ে পড়ছে শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাস এইচএমপিভি, কাম্বোডিয়ায় বেশি আক্রান্ত শিশুরা
ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে মানব মেটানিউমো ভাইরাস বা এইচএমপিভি। শ্বাসতন্ত্রের এই রোগের বিষয়ে এরইমধ্যে কাম্বোডিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। সব বয়সী মানুষকে আক্রান্ত করার সক্ষমতা রাখলেও এতে শিশুরা সবচেয়ে বেশি শিকারে পরিণত হচ্ছে। দেশটির সরকার ঠান্ডার এই মৌসুমে তাদের জনগণের প্রতি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে।
চীন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা সিংহুয়া এসব তথ্যের পাশাপাশি জানিয়েছে, দেশটির মন্ত্রণালয় বলছে, এইচএমপিভির উপসর্গগুলো সাধারণ ফ্লুর মতো। এরমধ্যে রয়েছে জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ থাকা, গলা ব্যথা এবং হাঁচি। গত সোমবার এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্যের পাশাপাশি তারা জানিয়েছে, এইচএমপিভি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি প্রথম ২০০১ সালে নেদারল্যান্ডসে শনাক্ত হয়। ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে কাম্বোডিয়ায় শিশুদের মধ্যে এই রোগ শনাক্ত হয়েছিল।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ‘এই ভাইরাস শিশু, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্ক ব্যক্তি এবং দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের জন্য গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে।’ তারা বলছে, কাম্বোডিয়ায় আবহাওয়া খুব ঠান্ডা না হওয়ায় এই রোগ ফ্লুর মতো মারাত্মক নয় এবং বেশিরভাগ শিশুই সুস্থ হয়ে উঠেছে।’ তবে মন্ত্রণালয় সতর্ক করেছে, প্রায় ৬ থেকে ১৬ শতাংশ সংক্রমিত শিশু ব্রংকিওলাইটিস বা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলছে, ‘এই ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা সুপ্তাবস্থা ৩ থেকে ৬ দিন।’ এইচএমপিভি এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রতিরোধে মন্ত্রণালয় কয়েকটি সুপারিশ দিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে—ভালো স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা, জনাকীর্ণ স্থানে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, ঘন ঘন হাত ধোয়া, সম্ভব হলে ভিড় এড়িয়ে চলা।
এদিকে, ভারতের সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি বলছে, এই ভাইরাসের লক্ষণ তুলে ধরে বলেছে, এর আক্রমণ চীন পর্যন্ত ছড়িয়েছে। তারা বলছে, এর কোনো ভ্যাকসিন এখনও আবিস্কার হয়নি। যদিও চীনের কোনো গণমাধ্যমে এই প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।