পাকিস্তানে বিশাল স্বর্ণের খনির সন্ধান, সত্যিটা কী?
পাকিস্তানে আনুমানিক ৮০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের স্বর্ণের খনি আবিষ্কারের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঝড় তুলেছে। তবে, পাকিস্তানের ফেডারেল সরকার বা পররাষ্ট্র দপ্তর এখন পর্যন্ত স্বর্ণের খনি আবিষ্কারের খবর নিশ্চিত করেনি।
আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের প্রাক্তন প্রাদেশিক খনি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী ইব্রাহিম হাসান মুরাদের একটি টুইটের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংবাদপত্র এবং সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল এই খবরটি প্রকাশ করেছে। মুরাদ দাবি করেছেন, পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপে (জিএসপি) ৩২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ২.৮ মিলিয়ন তোলা স্বর্ণের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মুরাদ লিখেছেন, "এই আবিষ্কার পাঞ্জাবের খনিজ সম্পদের অপরিসীম সম্ভাবনার ওপর জোর দেয়, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।" তিনি আরও বলেন, এই মাইলফলক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নতুন সুযোগের পথ প্রশস্ত করবে।
বর্তমান প্রাদেশিক খনি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রী সরদার শের আলী গোরচানিও এই আবিষ্কারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ২.৮ মিলিয়ন তোলা স্বর্ণের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
উর্দু দৈনিক জঙ্গ গোরচানির বরাত দিয়ে জানিয়েছে, স্বর্ণের মজুদ সম্পর্কে পাকিস্তানের ভূতাত্ত্বিক জরিপের সঙ্গে সহযোগিতায় কাজ করছে সরকার। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, গত বছর থেকে এই গবেষণা চলছে।
গোরচানি ব্যাখ্যা করেছেন যে, সরকার মজুদের পরিমাণ আরও মূল্যায়নের জন্য নেসপ্যাকের মতো সংস্থাগুলিকে আনার পরিকল্পনা করছে। তিনি বিশ্বব্যাপী মূল্যের ওপর ভিত্তি করে স্বর্ণের বাজার মূল্য ৬০০-৮০০ বিলিয়ন রুপি অনুমান করেছেন।
এদিকে, মূল্যবান এ সম্পদ রক্ষার জন্য, প্রাদেশিক সরকার খনির স্থানগুলি থেকে চুরি রোধে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
গোরচানি আরও বলেছেন, এক মাসের মধ্যে স্বর্ণের মজুদের জন্য একটি আন্তর্জাতিক নিলাম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এত বিশাল স্বর্ণের মজুদের আবিষ্কার পাকিস্তানের খনি খাতের জন্য একটি পরিবর্তনমূলক মুহূর্ত। এ পরিবর্তন সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সুবিধা এবং নতুন কর্মসংস্থান ও শিল্প সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।