যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত মানার আহ্বান মুক্ত ইসরায়েলি নারীর

দীর্ঘ আলোচনার পর যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে হামাস-ইসরায়েল। ইতোমধ্যে এই চুক্তির আওতায় মুক্তি পেয়েছেন তিন ইসরায়েলি বেসামরিক নারী ও ৯০ ফিলিস্তিনি নারী-শিশু।
বন্দি স্বজনদের ফিরে পাওয়ার পর গতকাল সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রথমবারের মতো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছে ইসরায়েলি পরিবারগুলো। এ সময় তারা নেতানিয়াহু সরকারের প্রতি গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তগুলো মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আল জাজিরার।
মুক্তি পাওয়া তিন নারীর মধ্যে একজন ডোরন স্টাইনব্রেগার। তার বোন ইয়ামিত আশকেনাজি সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেছেন, ‘ডোরন আমাকে এই বার্তা পাঠাতে বলেছে। সেখানে এখনও নারীদের (গাজায় বন্দি ইসরায়েলি নাগরিক) চিকিৎসা চলছে। তাদের পুনরুদ্ধারের পথ দীর্ঘ হতে পারে। ডোরন ইসরায়েলি সরকারকে হামাসের সঙ্গে করা যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলার অনুরোধ করেছেন।’
ইয়ামিত তার বোনের পক্ষে আরও বলেন, ‘আমাদের চুক্তির সব ধাপ বাস্তবায়ন করতে হবে। আমি যেমন পরিবারের কাছে ফিরতে পেরেছি, তেমনি সবার ফিরে আসা উচিত।’
এর আগে গত রোববার যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্তের অংশ হিসেবে রেড ক্রসের হাতে জিম্মিদের তুলে দেয় ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সামরিক গোষ্ঠী হামাস। এ সময় তিন জিম্মির হাতে একটি করে ‘উপহারের ব্যাগ’ ছিল।

মুক্তি দেওয়ার আগে হামাস একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জিম্মিদের হাতে উপহারের ব্যাগ তুলে দেয়। ব্যাগে ছিল একটি সনদ, বন্দি থাকা অবস্থায় জিম্মির নিজের ছবি (হামাসের সদস্যদের তোলা) ও গাজা উপত্যকার একটি মানচিত্র। উপহারগুলো হাতে নিয়ে জিম্মিরা হাসিমুখে ছবি তোলেন।
মুক্তি পাওয়া অন্য দুই নারীর নাম এমিলি ডামারি, রোমি গোনেন। তারা দুজন একইসঙ্গে বন্দি ছিলেন।