পুতিনকে আরও নিষেধাজ্ঞার হুমকি ট্রাম্পের
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না করলে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছেন নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনকে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, না হলে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘এখনই মীমাংসা করুন, এই হাস্যকর যুদ্ধ থামান। না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’
বুধবার (২২ জানুয়ারি) মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প এই প্রথমবার পুতিনকে নিয়ে মুখ খুললেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি চুক্তি না করেন, তাহলে রাশিয়া এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়া অন্যান্য দেশের বিরুদ্ধে চড়া হারে কর, শুল্ক বসানো এবং আরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা ছাড়া আমার সামনে কোনো বিকল্প থাকবে না।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখন এটা বন্ধ করুন। আমরা সহজ বা কঠিন রাস্তায় হাঁটতে পারি। সহজ রাস্তা সবসময়ই ভালো। তাই চুক্তি করার পক্ষে এটাই সেরা সময়। আর কোনো জীবন যেন নষ্ট না হয়।’
নির্বাচনি প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য বলেছিলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলে যুদ্ধ বন্ধ করে দেবেন। কিন্তু কীভাবে যুদ্ধ বন্ধ হবে, তা তিনি বলেননি।
এখন আরও নিষেধাজ্ঞা বলতে ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটাও স্পষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো ইতোমধ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
এটাও স্পষ্ট হয়নি ইউক্রেনকে যে লাখ লাখ ডলারের সামরিক সাহায্য দেয় যুক্তরাষ্ট্র, তার কী হবে? ইউক্রেনের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘে রাশিয়ার সহকারী রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা ছাড়াই যুদ্ধ শেষ করার চুক্তি বলতে ডোনাল্ড ট্রাম্প কী বোঝাচ্ছেন, সেটা জানা দরকার।’
রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের জানা দরকার, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে চুক্তির অর্থ কী? এটা তো শুধু যুদ্ধ বন্ধের প্রশ্ন নয়। প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি প্রশ্নটা হলো, যে কারণে ইউক্রেন সংকট শুরু হয়েছিল সেটা।’
রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেন, ‘রাশিয়াবিরোধী মনোভাব নেওয়ার জন্য ট্রাম্প দায়ী নন। তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ-প্রস্তুতি নেননি। তবে এখন ওই নীতি বদলের ক্ষমতা তার হাতে রয়েছে।’
মেক্সিকো সীমান্তে দেড় হাজার সেনা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, তারা মেক্সিকো সীমান্তে সীমান্তরক্ষীদের সাহায্য করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে দেড় হাজার সেনা মোতায়েন করবে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) প্রশাসনিক নির্দেশ জারি করে ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, অ্যামেরিকার সার্বভৌমত্ব বিপদের মুখে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরবর্তীতে ১০ হাজার সেনা পাঠানো নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।