নীরবে বিদায় নিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আলোচিত কূটনীতিক ডোনাল্ড লুর চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) পাকিস্তান ভিত্তিক গণমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড লুর মেয়াদ ২০২৫ সালের ১৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ায় তিনি বিদায় নিয়েছেন। তাকে সরানো কিংবা বরখাস্ত করা হয়নি।
সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনের সময় ২০২১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে শীর্ষ এই মার্কিন কূটনীতিক দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আলোচিত নাম হয়ে ওঠেন। বিশেষ করে ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুল পরিচিত মুখ। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগে ও পরে ডোনাল্ড লু দুই দফায় বাংলাদেশ সফর করেন। পাকিস্তানের রাজনীতিতে ‘সরকার পতনের কারিগর’ হিসেবে বেশ পরিচিত এই মার্কিন কূটনীতিক।
২০২২ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন। সেই সময় তার ক্ষমতাচ্যুতির নেপথ্যে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ তথা ডোনাল্ড লুর হাত ছিল বলে অভিযোগ ওঠে।
তখন লুকে ঘিরে পাকিস্তারে তীব্র সমালোচনা হয়। ইমরান খান তখন লুর দিকে ইঙ্গিত করে অভিযোগ করেন, সরকারকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন লু।
২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে ডোনাল্ড লু পাকিস্তানের সাথে মার্কিন সম্পর্ক তত্ত্বাবধানকারী ব্যুরোর নেতৃত্বে ছিলেন। পাকিস্তান সফরের পরপরই তিনি বাংলাদেশ সফরে আসেন। তার সফর শেষেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডোনাল্ড লু আবারও বাংলাদেশ সফরে আসেন।