ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করছেন ট্রাম্প
ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারী প্রবাসী ও বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। খবর আল-জাজিরার।
ট্রাম্প স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্ট শিটে বলা হয়েছে, ফেডারেল সরকার ‘যথাযথ আইন’ ব্যবহার করে ‘ইহুদিদের হয়রানি ও সহিংসতায়’ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ও ভিসা বাতিলের পদক্ষেপ নেবে।
বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি ও শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের বাধা দেওয়াসহ হয়রানির অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়, আমরা দ্রুতই কলেজ ক্যাম্পাসে হামাসের প্রতি সহানুভূতিশীল সব ছাত্রের ভিসা বাতিল করব, যারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত প্রবাসীদের উদ্দেশে বলা হয়, ‘আপনারা যারা জিহাদপন্থি আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন, আমরা আপনাদের নজরদারিতে রেখেছি। আমরা আপনাদের ২০২৫ সালের মধ্যে খুঁজে বের করব এবং নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠাব।’
এদিকে, দেশটির মানবাধিকার গোষ্ঠী এবং আইন বিশেষজ্ঞরা ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘নতুন পদক্ষেপটি সংবিধানের বাক-স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করবে এবং সম্ভবত আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে।’
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাইট ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ইনস্টিটিউটের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি ক্যারি ডিসেল বলেন, ‘দ্য ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে, এমনকি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত বিদেশি নাগরিকদেরও। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিদেশিদের বিতাড়িত করাটা হবে একটি অসাংবিধানিক কাজ।’
অন্যদিকে, ট্রাম্পের এই আদেশ বাস্তবায়ন ঠেকাতে আদালতে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছে মুসলিম অ্যাডভোকেসি গ্রুপ দ্য কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস।