ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে এ সপ্তাহেই ট্রাম্প-পুতিন আলোচনা

তিন বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধে অস্ত্রবিরতির লক্ষ্যে মস্কোকে রাজি করানোর জন্য ওয়াশিংটন ও ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ সপ্তাহেই আলোচনা করতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আজ রোববার (১৬ মার্চ) মার্কিন কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। খবর এএফপির।
এ সপ্তাহে সৌদি আরবে আলোচনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে ওয়াশিংটনের প্রস্তাবের পর কিয়েভ তাতে সম্মতি জানায়। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো জবাব দেননি, উল্টো বেশ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে প্রশ্নও তোলেন।
এ বিষয়ে মার্কিন সম্প্রচার মাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে রোববার এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, তিনি মনে করেন এ সপ্তাহেই দুই দেশের প্রেসিডেন্ট একটি সত্যিকার অর্থে ভালো ও ইতিবাচক আলোচনা করতে যাচ্ছেন।
এর আগে মস্কো জানিয়েছিল, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ গত মাসে সৌদি আরবে অনুষ্ঠিত মার্কিন-রুশ সম্মেলনে ইউক্রেন পরিস্থিতি প্রসঙ্গে সমঝোতা বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছিলেন যে, ক্রেমলিন যুদ্ধ থামাতে মোটেও ইচ্ছুক নয়। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, মস্কো প্রথমে যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়। এর আগে তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত নয়।

২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পর গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এরপর রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ না করেই বলেছিল, সের্গেই লাভরভ ও মার্কো রুবিও একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবেন।
শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেছেন, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন প্রসঙ্গে পরবর্তী ধাপের বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি আরও বলেন, মার্কো রুবিও ও সের্গেই লাভরভ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে যোগাযোগ পুনস্থাপনে এখনো কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।