লেবাননে আশ্রয় নিয়েছে ১৩ হাজার সিরীয় নাগরিক

সিরিয়ার উপকূলে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ডের পর প্রায় ১৩ হাজার সিরীয় নাগরিক সীমান্ত অতিক্রম করে লেবাননে আশ্রয় নিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) লেবাননের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ইউনিটের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১২ হাজার ৭৯৮ জন সিরীয় শরণার্থী লেবাননের উত্তরাঞ্চলীয় আক্কার প্রদেশের ২৩টি গ্রাম ও শহরে বসতি স্থাপন করেছেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নতুন করে দেশটিতে আসা শরণার্থীদের অধিকাংশই আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যরা বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন।
সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর থেকেই সেখানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে, সংঘাতের কারণে বহু পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
লেবাননের স্থানীয় প্রশাসন ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই শরণার্থীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে সংকট বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে লেবাননে সিরিয়ার শরণার্থীদের সংখ্যা কয়েক লাখে পৌঁছেছে, যা দেশটির সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো লেবাননে আসা শরণার্থীদের জন্য জরুরি সহায়তা ও পুনর্বাসন কার্যক্রম চালানোর আহ্বান জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, সিরিয়ায় বিদ্রোহীদের সশস্ত্র আক্রমণের মুখে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত যোদ্ধাদের সঙ্গে দেশটির বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। গত ৬ মার্চ দেশটির লাতাকিয়া প্রদেশে হামলার ঘটনায় অন্তত ৪৮ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে গত ১৪ মার্চ দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার নতুন অস্থায়ী সংবিধান ঘোষণা করে। এই ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন গোষ্ঠী নতুন শাসনব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। বিশেষত কুর্দি সম্প্রদায় এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলো নতুন সরকারে তাদের সঠিক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চাচ্ছে।