সৌদিতে আলোচনায় বসার আগে ইউক্রেনে রুশ হামলায় নিহত ৭

ইউক্রেনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছেন। সৌদি আরবে শান্তি আলোচনার আগে দেশটির ওপর আক্রমণ বন্ধের জন্য মস্কোর ওপর আরও চাপ প্রয়োগ করতে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি তার পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। খবর আলজাজিরার।
রাজধানী কিয়েভে ড্রোন হামলায় পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুসহ তিনজন নিহত এবং ১০ জন আহত হয়েছে। আজ রোববার (২৩ মার্চ) কিয়েভের সামরিক প্রশাসন এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের একজন সদস্য বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, তিন বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের আজ রোববার রাতে সৌদি আরবে বৈঠকের কথা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আজ রাতে রিয়াদে আমেরিকানদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
রোববার মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ উচ্চ-পর্যায়ের এই আলোচনার আগে আশা প্রকাশ করে করে ফক্স নিউজকে বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি চান।
অন্যদিকে, দোনেৎস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। আঞ্চলিক গভর্নর ভাদিম ফিলাশকিন বলেন, নিহতদের মধ্যে তিনজন ফ্রন্ট-লাইন ইউক্রেনীয় শহর ডোব্রোপিলিয়ায় হামলায় মারা গেছেন।
কিয়েভের মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো টেলিগ্রামে লেখেন, হামলার পর সৃষ্ট আগুন ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় বেশ কয়েকটি জেলা শহরে জরুরি পরিষেবা পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া শনিবার রাতে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ১৪৭টি ড্রোন ছুড়েছে। বিমান বাহিনী জানায়, এর মধ্যে ৯৭টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ২৫টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিবৃতিতে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভে হামলা ইউক্রেনের জন্য নিত্যদিনের ঘটনা। তিনি বলেন, ‘শুধু এই সপ্তাহেই আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ১ হাজার ৫৮০টিরও বেশি গাইডেড বোমা, প্রায় ১ হাজার ১০০টি স্ট্রাইক ড্রোন এবং বিভিন্ন ধরনের ১৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। নতুন সমাধানের প্রয়োজন, এ ধরনের হামলা ও যুদ্ধ বন্ধে মস্কোর ওপর নতুন করে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বাহিনী শনিবার রাতে ৫৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ‘ধ্বংস ও বাধাগ্রস্ত’ করেছে, যেগুলো রোস্তভ ও আস্ট্রাখান অঞ্চলের ওপর ছোড়া হয়েছিল।