গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা নিহত

গাজার একটি হাসপাতালে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাসের এক সিনিয়র নেতা ও তার সহযোগী নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার (২৪ মার্চ) হামাসের এক কর্মকর্তা বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
রোববার (২৩ মার্চ) রাতে খান ইউনিসের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র নাসের হাসপাতালে হামলায় নিহত হন হামাসের অর্থনৈতিক দপ্তরের প্রধান ইসমাইল বারহুম।
হামাসের ওই কর্মকর্তা জানান, চার দিন আগে এক বিমান হামলায় আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন বারহুম।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা হাসপাতালের ভেতরে সক্রিয় এক হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ‘ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের পর’ এবং ‘সুনির্দিষ্ট বিস্ফোরক’ ব্যবহার করে এ হামলা করা হয়েছে, যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন, যার মধ্যে চিকিৎসা কর্মীরাও রয়েছেন।
হামলায় হাসপাতালের যে অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা খালি করা হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
বিবিসির যাচাই করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হামলার পর মানুষজন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে হামাস হাসপাতালগুলোকে অস্ত্রের মজুদ ও কমান্ড সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করছে, যা হামাস অস্বীকার করে।
একই দিনে খান ইউনিসে আরেকটি ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামাস নেতা সালাহ আল-বারদাওয়িল নিহত হন বলে বিবিসিকে জানিয়েছে হামাসের এক কর্মকর্তা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার সকালেই খান ইউনিস ও রাফাহতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছিলেন, আর সন্ধ্যায় হাসপাতালে হামলার পর এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।
১৮ মার্চ ইসরায়েল গাজায় তার সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে, যা প্রায় দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতির অবসান ঘটায়। এরপর থেকে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল বলেছে, হামাস নতুন মার্কিন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, যার ফলে সংঘর্ষ আবার শুরু হয়েছে। অন্যদিকে, হামাস বলেছে, ইসরায়েলই জানুয়ারিতে হওয়া মূল চুক্তি থেকে সরে এসেছে।