ট্রাম্পের প্রতি ক্ষোভের মধ্যেই গ্রিনল্যান্ড সফর শুরু করলেন ভান্স

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স আজ শুক্রবার (২৮ মার্চ) গ্রিনল্যান্ডের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পিটুফিক পরিদর্শন করছেন। বিশ্ব মানচিত্রে কৌশলগত অবস্থানে থাকা প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ড্যানিশ এই ভূখণ্ডটিকে নিজেদের করে নেওয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির কারণে কোপেনহেগেন ও নুকের তীব্র প্রতিবাদের মুখে জে ডি ভান্সের এই সফর শুরু হলো। খবর এএফপির।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছেন, আর্কটিকের এই বিশাল দ্বীপটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য খুবই দরকার আর তিনি এক্ষেত্রে শক্তি প্রয়োগ করার সম্ভাবনাকে বাতিল করে দেননি। গত বুধবার ট্রাম্প আবারও বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ড আমাদেরই হবে।’
মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স এবং তার স্ত্রী ঊষা ভান্স ইতোমধ্যে গ্রিনল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমে পিটুফিক স্পেস বেস সফর শুরু করেছেন। এই সফরে তাদের সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ, জ্বালানি সচিব ক্রিস রাইট, ইউটাহর সেনেটর মাইক লি এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটির উপদেষ্টা জুলিয়া নেশে ওয়াট, যিনি কিনা মাইক ওয়াল্টজের স্ত্রী।
এই সফরে তারা যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ফোর্স সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার পাশাপাশি গ্রিনল্যান্ডের নিরাপত্তার বিষয়েও কী করা যায় তা খতিয়ে দেখবেন বলে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স।

অন্যদিকে, এই সফর শুরু হলেও ডেনিশ ও গ্রিনল্যান্ডের কর্মকর্তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন নিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রিনল্যান্ড নিতে দেওয়া যাবে না।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ভান্স ও তার দল কোনোরকম আমন্ত্রণ ছাড়াই এই সফর শুরু করেছেন এবং তা গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের জন্য ‘অগ্রহণযোগ্য চাপ”।
এদিকে গত জানুয়ারিতে প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে অধিকাংশ গ্রিনল্যান্ডবাসী দ্বীপদেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একীভূত করার ধারণার ঘোর বিরোধী।