শুল্ক আরোপ করে কেউ বিজয়ী হতে পারে না : শি জিনপিং

বাণিজ্য নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলতে থাকা উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফরের প্রাক্কালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, বাণিজ্য যুদ্ধের মাধ্যমে কেউ বিজয়ী হতে পারে না। খবর আলজাজিরার।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ভিয়েতনাম সফর শুরুর আগে দেশটির নাহান দান সংবাদপত্রে লেখা এক নিবন্ধে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, ব্যাপক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক বিশ্বায়নের লক্ষ্যে দেশগুলোকে একে-অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা উচিত। বাণিজ্য যুদ্ধ ও শুল্কারোপের মাধ্যমে কেউ বিজয়ী হতে পারে না এবং সংরক্ষণবাদ কোনো সমাধান দিতে পারে না।
শি জিনপিং বলেন, বহুপাক্ষিক বাণিজ্য ব্যবস্থাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করা প্রয়োজন, বৈশ্বিক উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হবে এবং এজন্য খোলামেলা ও সহযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ক্রমশ বাড়তে থাকা সংরক্ষণবাদ ও একতরফা বাণিজ্য বিস্তৃতির এই সময়ে চীনের অর্থনীতি বিশ্ব অর্থনীতির একটি মূল চালিকাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। চীন সর্বতোভাবে উচ্চমাত্রার খোলামেলা নীতি বজায় রাখবে যা বিশ্বের জন্য আরও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতিবাচক হয়ে দেখা দিবে। চীন তার উঁচুমানের উন্নয়নের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর অগ্রযাত্রার সঙ্গী হবে।

সোমবার এশিয়ায় পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করতে ভিয়েতনামে পৌঁছেন শি জিনপিং। এই সফরে তিনি মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়াতেও যাবেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টাপাল্টি করারোপের ঘোষণা দেওয়ার পর অনিশ্চয়তা কাটাতে চীন তার বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোতে বিশ্বস্ততার প্রমাণ রাখতেই এই সফরের আয়োজন। ট্রাম্প যেসব দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভিত্তিমূলক ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন এবং আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক গাড়ি নির্মাণ, ইস্পাত ও অ্যালুমনিয়াম শিল্পের ওপর আরোপের লক্ষ্য নিয়েছেন সেসব দেশের বেশ কয়েকটিউ এশিয়া মহাদেশের। তবে অতিরিক্ত এই শুল্কারোপের ঘোষণা তিনি পরে ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করেছেন, তবে চীনের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হচ্ছে না।
চীন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের অন্যতম বাণিজ্যিক অংশীদার। পাশাপাশি ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও কম্বোডিয়ার সঙ্গে তার রয়েছে বিশাল অংকের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। এই অঞ্চলে ভিয়েতনাম সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে চীন থেকে যার বাৎসরিক পরিমাণ ১৪৪ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।