আসছে চালকবিহীন বাস
চালকবিহীন কার এখন অটোমোবাইল দুনিয়ায় সবচেয়ে আলোচিত এক বিষয়। ভলভো, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো মোটরগাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিংবা অ্যাপল-গুগলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান—সবার আগ্রহ এখন এই প্রযুক্তিকে ঘিরে। তবে এই প্রযুক্তি এখন আর শুধু বিলাসবহুল কারে আটকে থাকছে না।
কার ছেড়ে এবার চালকবিহীন গাড়ি প্রযুক্তি এক ধাপ এগিয়ে ব্যবহৃত হতে যাচ্ছে বাসে। সুইজারল্যান্ডের অন্যতম প্রধান গণপরিবহন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কারপোস্টাল নির্মাণ করতে যাচ্ছে চালকবিহীন বাস! এ খবর জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
আগামী দুই বছরের জন্য সুইজারল্যান্ডের পর্যটন শহর সিওনে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এখানে একটি পাইলট প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। স্বচালিত এই বাস এখানকার পর্যটকদের নির্দিষ্ট রুটে সেবা দিয়ে থাকবে।
প্রকল্পটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকছে সুইস প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বেস্টমাইল। প্রতিষ্ঠানটির চালকবিহীন গাড়ির জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভেলপ করার খ্যাতি আছে।
২০১৬ সালের বসন্তে চালু হতে পারে এই পরীক্ষামূলক কর্মসূচি। প্রাথমিকভাবে নয়টি বিদ্যুৎ চালিত বাস সুইজারল্যান্ডের পুরোনো শহর সিওনের রাস্তা ধরে চলবে। চালকবিহীন এই বাস যে ঝুঁকিমুক্ত এবং স্বল্পমূল্যে পাওয়া যেতে পারে, সে তথ্য আরো বেশি মানুষের কাছে তুলে ধরার প্রয়াস এই প্রকল্প। কারপোস্টাল চায়, অদূর ভবিষ্যতে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় চালকবিহীন বাস ছড়িয়ে দিতে।
বেস্টমাইল কিন্তু বেশ প্রস্তুতি নিয়েই নেমেছে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে। সিওন পাইলট প্রোগ্রামের আগে বেস্টমাইল দুই বছর খাটাখাটনি করে নতুন প্রজন্মের এক গাণিতিক অ্যালগরিদম তৈরি করেছে, যার ফলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে চালকবিহীন গাড়ি খাপ খাইয়ে নিতে পারবে নিজেকে। জনবহুল রাস্তায় চলার পথে গণপরিবহনের জন্য বিষয়টি বেশ জরুরি।
সুইজারল্যান্ডের পূর্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সুইডেন তাদের রাস্তায় চালকবিহীন গাড়ি চলার অনুমতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে চালকবিহীন গাড়ি নিয়ে টেস্ট ড্রাইভও চালিয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠান।
অন্যদিকে সুইডেনে গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ভলভো ২০১৭ সালে তাদের ১০০টি চালকবিহীন এক্সসি৯০ এসইউভি নিয়ে ‘ড্রাইভ মি’ প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, আগামী দিনের অটোমোবাইল প্রযুক্তি স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে।