ই-কমার্স খাতে দুর্নীতি দুই শতাংশেরও কম : শমী কায়সার
ই-কমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক শমী কায়সার বলেছেন, পুরো ই-কমার্স খাতে যে কয়েকটি কোম্পানি দুর্নীতি করেছে তারা দুই শতাংশেরও কম। কিন্তু করোনাকালে আমরা দেখেছি, কোভিডকালে পুরো ই-কমার্স খাতে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তার বেশিরভাগই নারী।’
আজ শনিবার রাতে দর্শকনন্দিত বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই-এর যৌথ উদ্যোগে বিশেষ অনুষ্ঠান ‘কেমন বাজেট চাই’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শমী কায়সার বলেন, প্রধানমন্ত্রী এই বছরটাকে অবকাঠামো বছর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এর একটা বড় অংশই হচ্ছে, তথ্য ও প্রযুক্তি।
আমি নারী উদ্যোক্তাদের বিষয়ে বলতে চাই, আমরা দেখেছি, কোভিডকালে পুরো ই-কমার্স খাতে প্রায় দুই লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে এবং ফেসবুকের মাধ্যমে প্রায় চার লাখ উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তার বেশিরভাগই নারী। কিন্তু পুরো ই-কমার্স খাতে যে কয়েকটি কোম্পানি দুর্নীতি করেছে তারা দুই শতাংশেরও কম বলে উল্লেখ করেন শমী কায়সার।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ধন্যবাদ দিয়ে শমী কায়সার বলেন, ‘গত বছর করপোরেট ট্যাক্সের আওতায় আনতে চেয়েছিল এনবিআর। কিন্তু পরে উৎসে করের আওতায় আনা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছিল, এক কোটি টাকার বাইরে যারা তারা এই উৎস করের বাইরে। আমাদের অনুরোধ, এই খাতটি মাত্র তৈরি হয়েছে, প্রায় ৯০ শতাংশই হচ্ছে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা এবং নারী উদ্যোক্তা। এই উৎসে করটি অন্তত তিন বছরের জন্য মওকুফ করা অথবা এক কোটির স্লাবটি আরও বাড়ানো উচিত। অন্তত এক কোটির জায়গায় দুই কোটি করা উচিত।’