কমছে পেঁয়াজের দাম, বাজারে স্বস্তি
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/28/penyyaaj.jpg)
কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। পেঁয়াজের এই দাম কমাকে কেন্দ্র করে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভেতরে। বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে দাম কমে কেজিপ্রতি ৫০ টাকা হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আবুল হাসান নামের এক ক্রেতা তিন কেজি পেঁয়াজ কিনছেন। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত সপ্তাহে ১১০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। আজ দেশি পেঁয়াজ পাচ্ছি ৮০ টাকায়। তাই তিন কেজি কিনেছি। শুনছি আগামীতে আরো দাম কমবে। শুনে ভালো লাগছে। তবু দাম কমার ভরসা পাচ্ছি না। তাই তিন কেজি কিনলাম।’
খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা আবদুল গাজী বলেন, ‘ভারত টুকটাক পেঁয়াজ ছেড়েছে। তাতেই কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। আগামী ৫ মার্চ থেকে আরো বেশি বেশি পেঁয়াজ আসবে বলে শুনেছি। আগামী সপ্তাহের ভেতরে পেঁয়াজ ৫০ টাকায় আসবে। ক্রমে এই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকায় আসবে। আজ সকাল থেকে বিক্রিও বেড়েছে।’
রাইসুল নামের আরেক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, ‘ভারতের পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে। যে পেঁয়াজ গত শুক্রবার বিক্রি করেছি ১২০ টাকা কেজিতে, আজ সেই পেঁয়াজ ৯০ টাকা করে বিক্রি করছি। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে। দাম কমলে তো আমাদের লস নেই, বরং বিক্রি বাড়ে।’
তবে দেশি কিংবা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কমলেও এখনো পাকিস্তানি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। শহিদ নামের এক বিক্রেতা বললেন, ‘দেশি আর ভারতের পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করলে পাকিস্তানি পেঁয়াজের দামও কমবে। অথবা আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।’
পেঁয়াজ ছাড়া দাম কমেছে লাউয়ের। গত সপ্তাহের ৬০ থেকে ৭০ টাকার লাউ বিক্রি হয় ৫০ টাকায়। দেশি রসুনের দাম ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা। এদিকে চীনা রসুনের দাম বেশি থাকলেও কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা দরে। এ ছাড়া ২০ টাকা কেজি আলু, গাজর ২৫ টাকা, বেগুন ৪০ টাকা, শিম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা এবং প্রতিটি ফুলকপি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।