চাল ও তেলের দাম বেড়েছে, কমেছে মাছের
সহসাই কমছে না চালের দাম। মানসম্মত চাল না পাওয়ায় ভারত থেকে চাল আনতে পারছেন না আমদানিকারক। তাই বাজারে চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এদিকে চিনির দাম নিধারিত করে দিলেও চিনি বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে বাজারগুলোতে। তবে দাম কমেছে সব ধরনের মাছের। আর তেল ও মশুর ডালের দাম বেড়েছে কেজি প্রতি সাত থেকে ১০ টাকা।
ক্রমাগত চালের দাম বৃদ্ধির অস্থিরতা কিছুটা কাটলেও সহসাই দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না চাল ব্যবসায়ীরা। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ সপ্তাহেও কিছুটা বেড়েছে চালের দাম। কারণ হিসেবে আমদানিকারকরা বলছেন, মানসম্মত না হওয়ায় ভারত থেকে কোনো চাল আনতে পারছেন না তারা। তাই সামনের দিনগুলোতে চালের বাজারে কোনো সুখবর দিতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী (৪০) বলেন, ‘ইন্ডিয়ার চাল তেমন আসেনি। আর ইন্ডিয়ার চালের মানও নাকি তেমন ভাল না। ইন্ডিয়ার চালের মান ভাল না হওয়ার কারণে দেশি চালের দাম এক থেকে দুই টাকা করে বেড়ে গেছে।’
অপর এক ব্যবসায়ী (৬০) বলেন, ‘এখন তো চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। বাজারে মাল না এলে তো কমবে না।’
এদিকে বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি আট থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন চিনির দাম বেঁধে দিলেও বাস্তবে বাজারে ওই দামে বিক্রি হচ্ছে না চিনি। আর মোটা মশুরের ডাল ও তেলের দাম কেজিতে বেড়েছে অন্তত আট টাকা।
কারওয়ান বাজারের খুরচা বিক্রেতা (৪৫) বলেন, ‘চিনি গত ১৫ দিন আগে ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি করছি। গতকাল আমি চিনি ৭৮ টাকা কেজিদরে কিনে আনছি। ৮৪ টাকা গায়ের দাম। আমরা ৮০ থেকে ৮২ টাকা বিক্রি করি। এরপর ধরেন সোয়াবিন তেল। প্রতি লিটারে তারা আট থেকে ১০ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে। যাবেন কই?’
বাজারে সরবরাহ বাড়ায় চাহিদা বেড়েছে ইলিশের। ফলে কমেছে সব ধরনের মাছের দাম। দুজন মাছ ব্যবসায়ী এনটিভিকে বলেন, ইলিশের আমদানি বাজারে বেড়েছে। এ কারণে অন্যান্য মাছের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। সামনের দিনে এই দাম আরও একটু কমবে বলেও মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বেড়েছে সব ধরনের মুরগির দাম। আর অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির দাম।