স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে এনবিআরের সঙ্গে কাজ করতে বাজুসের চিঠি

স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে যৌথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আজ মঙ্গলবার বাজুসের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি এ বিষয়ে বাজুসের প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বরাবর প্রদান করা হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস দেশের জুয়েলারি শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে।
সারা দেশে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে নিরলস পরিশ্রমে প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে দেশের জুয়েলারি শিল্পের বাজার। এমন প্রেক্ষাপটে জুয়েলারি শিল্পে সোনা চোরাচালান বড় ধরনের সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চোরচালান শুধু দুর্নীতিকে উৎসাহিত করছে না। চোরাচালানের ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কট বাড়ছে। আমরা ধারণা করছি, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে সারা দেশে জল, স্থল ও আকাশ পথে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলঙ্কার ও বার চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশ আসছে; যা ৩৫৬ দিনে বা এক বছরে দাঁড়ায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা।
এ অবস্থায় চোরাচালান, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ ও জুয়েলারি শিল্পের চলমান সঙ্কট মোকাবিলায় বাজুসের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সোনা চোরাচালানান ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ এবং চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে যৌথ মনিটরিং সেল গঠন ও চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আউন সংশোধন করে আরও কঠোর আইন প্রণয়ন করা প্রয়োজন।