বেগুন ১০০ টাকা, বেড়েছে মাছ-মাংসের দামও
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/06/19/photo-1434708102.jpg)
রমজানের প্রথম দিন রাজধানীর কাঁচাবাজারে নাভিশ্বাস উঠছে ক্রেতাদের। সে সঙ্গে রমজান উপলক্ষে মাংসের দাম কিছুটা বাড়লেও সাধারণ ক্রেতাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে মাছের দাম। আর ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজারে বেগুনের দাম ছুঁয়েছে ১০০ টাকা। চড়া দাম শসা, লেবু, পেঁয়াজ ও অন্যান্য সবজির।
urgentPhoto
মাংসের দাম রমজানের আগেই কিছুটা বেড়েছিল। আর রমজানের প্রথম দিন হওয়ায় বাড়তি গরুর মাংসের দাম আরো এক দফা বেড়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় অপরিবর্তিত আছে মুরগির মাংসের দাম। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, যদি গরু আমদানি হয়, তাহলে যা দাম আছে তা-ই থাকবে, দাম বাড়বে না। আর ক্রেতারা বলছেন, রমজান এলেই প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়ে যায়, এতে তাঁদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মাংসের বাজার কিছুটা স্বস্তিতে থাকলেও মাছের বাজারে হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। সব রকম মাছের দামই দ্বিগুণ বেড়েছে বলে দাবি বিক্রেতাদের। তাঁরা বলছেন, মাছ বেচে শান্তি পাচ্ছেন না তাঁরা। বেশি দামে কিনে এনে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে অনেক মাছই। আর যাঁরা লাভ করছেন, সে লাভের অঙ্কটাও খুব বেশি নয়।
বাজার ঘুরে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে মাছের আমদানি ভালো থাকলেও অন্য দিনের তুলনায় মাছের দাম বাড়তি।
কাঁচাবাজারেও ক্রেতাদের অস্বস্তি চরমে। ইফতারে সবচেয়ে প্রচলিত সবজি বেগুন, শসা, লেবুর দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি বেগুনের দাম রাখা হচ্ছে ১০০ টাকা। আর শসা-লেবুর দামও বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বাড়তির তালিকায় পাল্লা দিয়ে চলেছে পেঁয়াজের দামও। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এক ক্রেতা অভিযোগ করেন, ‘যে শসা দুদিন আগে ১৫-২০ টাকা করে বিক্রি হয়েছে, সেই শসা আজ ৫০ টাকা। যেখানে ৩০-৩৫ টাকা কোনো জিনিসে বাড়তি রাখা হচ্ছে, সেখানে বিষয়টি মনিটরিং করা উচিত না?’
তবে প্রথম রমজানের ছোঁয়া তেমন একটা লাগেনি ছোলা, চিনি ও ডালের বাজারে। ভোজ্যতেলের দামও অপরিপর্তিত আছে গত সপ্তাহের তুলনায়।