‘যিনি ঘুষ খান এবং যিনি ঘুষ দেন, উভয়ই জাহান্নামী’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরামর্শক সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, যিনি ঘুষ খান এবং যিনি ঘুষ দেন উভয়েরই জায়গা জাহান্নাম, উভয়ই জাহান্নামী।
সভায় অর্থমন্ত্রী জানান, রাজস্ব খাতে ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধে এনবিআর ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে নিয়ে বিশেষ কমিটি গঠন করবে অর্থ মন্ত্রণালয়। যেখানে আলাদা হটলাইন নম্বর থাকবে, ভুক্তভোগীরা যেকোনো সময় অভিযোগ করতে পারবেন। অভিযোগের সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আর তদারকিতে থাকবেন অর্থমন্ত্রী নিজেই।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এনবিআরের পরামর্শক কমিটির সভায় এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। আগামী পাঁচ বছরে কর বাড়ানো হবে না, বরং কমবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কোর্ট-কাচারি না, ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ে সরাসরি আমার কাছেও যদি কেউ অভিযোগ দেয়। আমি যাদের নিয়ে বসার বসব, সর্বোচ্চ সময় লাগবে সাত দিন। অ্যাকশন নেওয়া হবে।
আজকের সভায় ব্যবসায়ী নেতারা, ব্যবসাবান্ধব ভ্যাটের হার নির্ধারণের দাবি জানান।
এফবিসিসিআইয়ের বিদায়ী সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, ‘মূল্য সংযোজন করের (মূসক) একাধিক হার নিয়ে আমরা ইতিপূর্বে বলেছি। এমতাবস্থায় নতুন আইন বাস্তবায়ন কতটা বাস্তবসম্মত হবে, তা পুনরায় ভেবে দেখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
তবে যৌক্তিক ভ্যাট নির্ধারণের মাধ্যমেই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন হবে বলে জানান এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথা হয়েছিল। দুই বছরের জন্য এটা বাদ ছিল, এ বছর থেকে আমাদের অবশ্যই ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। সেটি করার জন্য আমরা কিন্তু আপনাদের সঙ্গে বিভিন্নভাবে আলাপ আলোচনা করেছি।
এ সময় অর্থমন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছরে করের পরিমাণ কমবে, বাড়বে না কখনো। আসছে বাজেটেও নতুন করে কর বাড়ানো হবে না। তবে করের আওতা বাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এ ছাড়া অর্থপাচার রোধে এখন থেকে আমদানি ও রপ্তানি পর্যায়ে পণ্যের স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।